রাতে ডিউটিরত অবস্থায় নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু

পাবনার সদর উপজেলায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত অবস্থায় সুমি খাতুন (২২) নামে এক নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের আয়াসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সুমি খাতুন আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সৈকত আলীর মেয়ে। তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে ওই ক্লিনিকে নার্স (সেবিকা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার সানরাইজ নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুমি খাতুন বেশ কয়েক বছর ধরেই শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার সানরাইজ নামের ওই বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটালে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতেও তিনি ওই ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বুধবার সকালে ক্লিনিকের একটি কক্ষে কর্মচারীরা তার মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নার্সের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল জানান, নার্সের গলায় দাগ রয়েছে। তবে, আত্মহত্যার জন্য তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়েছেন না কি তাকে কেউ শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, রাতে ডিউটিরত অবস্থায় তিনি মারা যান। এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক।

ওডি/আইএইচএন