ফেনীতে অন্তঃসত্ত্বার লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ আটক ৪

ফেনীতে নাসরিন আক্তার মনজু (২৮) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রামের মিঝিবাড়ী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মোমিনুল ইসলাম (৪২), শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৬৫), ননদ রাবেয়া (২৮) ও সাফিয়াকে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

নিহত নাসরিন আক্তার মনজু ফেনী সদর থানার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের জগৈরগাঁও গ্রামের মো. আবুল হোসেনের মেয়ে। নাসরিন আক্তার মনজুর স্বামী মোমিনুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ গিয়ে উত্তর সতর গ্রামের মিঝিবাড়ী থেকে গৃহবধূ নাসরিন আক্তার মনজুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আদিল মাহমুদ জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত নাসরিন আক্তার মনজুর স্বামী মোমিনুল ইসলাম, শাশুড়ি জাহানারা বেগম, ননদ রাবেয়া ও সাফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পরিদর্শক জানান। নিহতের স্বামী মোমিনুল ইসলাম ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রামের মিঝিবাড়ীর আমিনুল হকের ছেলে।

নিহতের বড় বোন সাবিনা আক্তার ও ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, নাসরিন আক্তার মনজু পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। সাজ্জাত হোসেন নীরব নামে তার আট বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

২০০৯ সালে বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি জাহানারা বেগম, ননদ রাবেয়া, সাফিয়া ও মাফিয়া, দেবর তারেক ও স্বামী মোমিনুল ইসলাম তার বোনকে কারণে অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।

২০১৫ সালে স্বামী মোমিনুল ইসলাম সৌদি আরব থাকাকালীন শাশুড়ি জাহানারা বেগম, ননদ রাবেয়া, সাফিয়া ও মাফিয়া এবং দেবর তারেক নিহত নাসরিন আক্তার মনজুকে বেদম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আটক করে রাখে।

খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন পুলিশ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তাদের দাবি মঙ্গলবার সকালে শারীরিক নির্যাতন করে নাসরিন আক্তার মনজুকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ওডি/এএসএল