কুলাউড়া প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
বাল্যবিবাহমুক্ত কুলাউড়া উপজেলায় এবার ঘটা করে সম্পন্ন হয়েছে বাল্যবিয়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সিকন্দর আলীর মেয়ে সেলিনা বেগমের সঙ্গে হাজিপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামর মো. ছমদ মিয়ার ছেলে মছকন মিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি বাল্যবিয়ে বলে গুঞ্জন দেখা দিলে কমিউনিটি সেন্টারে তাড়াহুড়ো করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে। এর আগে পৃথিমপাশা কাজি অফিসে গত ২৯ আগস্ট কাবিননামা সম্পন্ন হয়। করইগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ওই কিশোরীর জন্ম তারিখ ২০ জুন ২০০২। ২০১৩ সালে পিইসি (৫ম শ্রেণির সমাপনী) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সে হিসেবে কনের বয়স ১৭ বছর ২মাস ১২দিন। যা এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক।
বিয়ে সম্পাদনকারী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কাজি রফিকুল ইসলাম জানান, কনে সেলিনা বেগমের ২০১৭ সালে ১৬ আগস্ট পৃথিমপাশা ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া জন্মসনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০০০। তাছাড়া কনের এর আগে একটি বিয়ে হয়েছে। যার তালাকনামা তার কাছে সংরক্ষিত আছে। ফলে কনে প্রাপ্তবয়স্ক জেনেই তিনি বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।
এ বিষয়ে কুলাউড়া মহিলা বিষয় কর্মকর্তা সেলিনা ইয়াসমিন দৈনিক অধিকারকে জানান, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও স্যার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানার ওসিকে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বাল্যবিয়ে রোধে আমরা ঘটনাস্থলে স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়েছি। মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র ও একটি জন্ম সনদ নিয়ে আমরা সন্দিহান। প্রকৃত অর্থে কোনো সনদটি সঠিক সেটা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড