• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাঁশখালীতে পানিবন্দি ৪০টি পরিবার

বাঁশের সাঁকোই পারাপারের শেষ ভরসা

  বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৪৮
বাঁশের সাঁকো
জলাবদ্ধতায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সুপেয় পানি ও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনকিচর গ্রামের ৪০টি পরিবারের। তিন শতাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক শেখ ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কটি যখন বিলীন হয়ে রূপ নিয়েছে দ্বীপে। তখন সড়কের প্রায় এক হাজার ফুট দীর্ঘ পথ বিলীন হয়ে যাওয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকোটিই যেন তাদের যাতায়াতের শেষ ভরসা।

স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ওই পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়েদেরও নিত্য ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় এ সাঁকো দিয়েই। এতে কখনো কখনো পানিতে পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায় স্কুলের ব্যাগভর্তি বইখাতা। একেই তো সড়কের বেহাল দশা তার উপর বিদ্যুৎ বিহীন নোয়াপাড়ার লোকজন ভুগছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সমস্যায়।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে মনকিচর গ্রামের নোয়াপাড়ার গিয়ে দেখা যায়, মানুষ পানিবন্দি জীবন ও সুপেয় পানির জন্য সাঁকো পার হয়ে পানি সংগ্রহে যাচ্ছে। আঁকাবাঁকা এই বাঁশের সাঁকোতে চলতেও অনেকে ভয় পায়। আবার পানি সংগ্রহে যাওয়ার সময় কেউ কেউ সাঁকো থেকে নিচের জলাবদ্ধ পানিতেও পড়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে জাফর আহমদ, শাকেরা বেগম জাহানারা বেগম, রেহেনা বেগম ও রহিমা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দীর্ঘ এক বছর যাবত তারা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে। নোয়াপাড়ায় ৪০টি পরিবার মিলে একটিও নলকূপও নেই। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে স্থবির করে তুলেছে। সাঁকো পার হয়ে আছরের সময় দীর্ঘ আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামের আলী আহমদ মাঝির বাড়ি থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় তাদের।

তারা অভিযোগ করেন, আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে গেলেই সেখানে হয়না দুর্ভোগের। বিদ্যুৎ নির্ভর ওই নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহের জন্য গেলে কখনো কখনো বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয়জলের প্রাপ্তি আর হয়না।

নোয়াপাড়া গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই। ফলে তারা এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর জানান, আধা কিলোমিটার সড়কটির আড়াইশ ফুট পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। অস্থায়ীভাবে গ্রামীণ মানুষদের চলাচলের জন্য নিজ উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করি। ৪০টি পরিবারের এলাকায় একটি নলকূপও না থাকায় দূরবর্তী স্থান থেকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে পানি আনতে যায় গ্রামের বৌ-ঝিরা। এ সময় ওই স্থানে এখনো বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহসিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন। এ সময় একটি মহল সড়কের জায়গাটি তাদের বলে দাবি করায় সেখানে আর কাজ করার সুযোগ হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড