মো. মজনু মিয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ
নীতিমালা লঙ্ঘন করে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিভিন্ন বাজারের মোড়ে মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ। ফলে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে শহরের বাইরে গ্রাম এলাকার মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি হারিকেন ও বোতলে পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মুদি, হার্ডওয়্যার, টিভি ফ্রিজের ও ওষুধের দোকানেও মিলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার।
ভালুকা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এর ফলে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ও দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনে প্রাণহানি ঘটনা ঘটতে পারে। একই আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভালুকা উপজেলা উথুরা ইউনিয়নের নারাঙ্গী চৌরাস্তা মোড়, উথুরা বাজার, চামিয়াদী বাজার, কৈয়াদী বাজার, মেদুয়ারী ইউনিয়নের ভাঘসাঁতরা মোড়, নিঝুরী বাজার, বগাজান বাজার, ভরাডোবা ইউনিয়নের ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড, ধীতপুর ইউনিয়নের ধলিয়া বাজার, রান্দিয়া বাজার, শান্তিগঞ্জ বাজার, বিরুনীয়া ইউনিয়নের বিরুনীয়া বাজার, মাহমুদপুর বাজার, বিরুনীয়া মোড়, নন্দিবাড়ী,ভালুকা ইউনিয়নের মেহেরাবাড়ী, বিভিন্ন মোড়ে, মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ী বাজার, মামারিশপুর বাজার, মল্লিকবাড়ী মোড়, হাজির বাজার, সাতেঙ্গা চৌরাস্তা, ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া বাজার, ডাকাতিয়া চৌরাস্তা, আংগারগাড়া বাজার, আখালিয়া মোড়, আউলিয়ার চালা বাজার, ছিটাল বাজার, কাতলামারী বাজার, পাঁচগাঁও বাজার, কাচিনা ইউনিয়নের কাচিনা বাজার,পালগাঁও চৌরাস্তা, পালগাঁও বাজার, তামাট বাজার, বাটাজোর বাজার, হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিডষ্টোর বাজার, আমতলী, স্কয়ার মাস্টারবাড়ী, ঝালপাঁড়া বাজার, কাশর বাজার, পাড়াগাঁও বাজার, রাজৈ ইউনিয়নের বোর্ড বাজার, পারুলিয়া বাজার, পনাশাইল বাজার, ভালুকা পৌর শহরে এলাকায় পাঁচ রাস্তার মোড় ও বিভিন্ন মোড়ে ওষুধের দোকান, রেস্তোরাঁ, মনোহারী দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে।
বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার (ছবি : দৈনিক অধিকার)
ভালুকা হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী জামিরদিয়া রোডের এলাকায় জম জম এন্টারপ্রাইজ মো. আলামিন হোসেন বলেন, দোকানের এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রিতে লাইসেন্সের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার দাবি, এ বিষয়ে কোনো গ্যাস কোম্পানির লোকজন তাকে কিছু বলেননি। তার দোকানে ছয়টি ভিন্ন কোম্পানির ৩০টি গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভালুকা বাজারের পাঁচ রাস্তার মোড়ে মজিবর ইলেকট্রনিক্স এন্ড গ্যাস স্টোরের মালিক মজিবর রহমান জানায়, লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করা যাবে না এবং লাইসেন্সের বলা আছে সাড়ে আটশো কেজি গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে পারবেন এবং আমার দোকানে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ও ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাকে বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, সিলিন্ডার ব্যবসার ক্ষেত্রে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করে ব্যবসা করতে হবে।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ কামাল জানান, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড