• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সড়কবিহীন ব্রিজ, কোনো কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর

  হুমায়ূন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম

২৮ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪৩
ব্রিজ
সংযোগ সড়ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কুড়িগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগেরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নির্মিত ব্রিজগুলো এখন এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এর দুপাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে এসব ব্রিজ।

এদিকে কাগজে কলমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটলেও এর কোনো সুফল পাচ্ছে না স্থানীয়রা। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার কারণে। এসব অনিয়মের বিষয়ে দরখাস্ত ও দেন-দরবার করেও সমাধান মিলছে না। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।

সূত্র যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন হলোখানা ইউনিয়নের হেমেরকুটি গ্রামে ২০১৭ সালে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্তের ব্রিজটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলেও ব্রিজের দুদিকে মাটি ভরাট না করায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে সেটি। দুবছর কেটে গেলেও এই ব্রিজ এলাকাবাসীর কোনো কাজে লাগেনি। এমনকি তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমেও এটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে পারছে না।

দুবছর অতিবাহিত হলেও এ ব্রিজ এলাকাবাসীর কোনো কাজে লাগেনি (ছবি: দৈনিক অধিকার)

এ বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। ব্রিজের দুদিকের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় সেটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে হেমেরকুটি গ্রামের ফজল আলী, রহমত মিয়া, কাদের, হাজেরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সরকার ব্রিজ তৈরি করে জনগণের উপকারের জন্য। অথচ এই ব্রিজ বানানোর পর থেকে আমরা একদিনও হাঁটতে পারিনি, যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা। আজ এই ব্রিজ এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও আবু বক্কর, মজিবর ও মীম জানান, ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় দুপাশের মাটি ভেঙে যাচ্ছে। এতে আবাদি জমিতে বালু পড়ছে। এমন হাজারো সমস্যা নিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। বর্ষায় ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো স্কুল যেতে পরে না। তখন খুব সমস্যা হয়। কিন্তু এটা দেখার কেউ নেই।

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের দুপাশের ভেঙে যাচ্ছে (ছবি: দৈনিক অধিকার)

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় নির্মিত এমন অনেক ব্রিজ রয়েছে- যা স্থানীয়দের কোনো কাজে আসছে না। এসব ব্যাপারে কর্মকর্তারা নির্বিকার। নেই কোনো মনিটরিং বা জবাবদিহিতার ব্যবস্থা। ফলে এলকাবাসীর দুর্ভোগ তাদের কুম্ভকর্ণে প্রবেশ করে না। জনপ্রতিনিধিরাও অভিযোগ করতে করতে আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণরও পুনর্বাসন কর্মকর্তা খায়রুল আনাম জামান, ত্রাণ শাখার যেসব ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়; তা স্ব-স্ব উপজেলা থেকে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড