ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলেজছাত্র সাইফুল হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় কলেজছাত্র মো. সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. দিদারুল আলম, মো. মামুন মিয়া, মো. নাহিদ মিয়া ও মো. আনিসুর রহমান। এদের সবার বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের আড়াইসিধা গ্রামে।

এ দিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. মোহন মিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও মো. শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নয়জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জের আড়াইসিধা ইউনিয়নের মাধুরপাড়া গ্রামের মো. সোহরাব মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর স্থানীয় নতুন চকবাজার এলাকার একটি সেতুর পাশে ফেলে রাখে আসামিরা। এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার দুই আসামি মৃত্যুবরণ করায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান থাকে।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ মোল্লাহ ওই বছরের ৪ জুন অভিযুক্ত ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার আদালত চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর মামলার বাদী মো. সেলিম মিয়া জানান, আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়টি নিয়ে রায়ের কপি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন আমরা তাতে সন্তুষ্ট।

ওডি/আইএইচএন