বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম চাম্বল ডেপুটিঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সুপেয় পানির সঙ্কটে পড়ে শিক্ষার্থীরা পানির তৃষ্ণা মেটাতে না পেরে কখনো কখনো পুকুরের কিংবা জলকরদের দূষিত পানির দিকে হাত বাড়াচ্ছে। এতে নানা পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে যে নলকূপটি আছে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ সঙ্কট দেখা দেয়। স্কুলের আশপাশে কোনো নলকূপ না থাকায় শিক্ষক আর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন ৩-৪ জন শিক্ষার্থী ২-৩ কলস পানি আনতে যায় আধা কিলোমিটার দূরত্বের গ্রামীণ মেঠো পথ পাড়ি দিয়ে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিদ্যালয়ের মিড ডে এর বিরতির সময় ৪-৫ জন শিক্ষার্থীর একটি দল কলসি নিয়ে পানি আনতে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখা যায়। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। স্কুল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এক শিক্ষার্থীর পারিবারিক নলকূপ থেকে এভাবে প্রতিদিন পানি আনে শিক্ষার্থীরা। এ কয়েক কলসি পানিতেই সারাদিন কাটিয়ে দেয় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
বিশেষ করে তীব্র গরমে পানীয় জলের সঙ্কটে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারা কোনো উপায় না দেখে প্রয়োজনের তাগিদে পানি পান করতে বাড়ি চলে যায়। তাছাড়া পশ্চিম চাম্বল ডেপুটিঘোনা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে হাতে গোনা যে কয়েটি গভীর নলকূপ আছে তাও মোটরচালিত। বিদ্যুৎ না থাকলে এ বিপর্যয় আরও চরম আকার ধারণ করে। এমনকি পুরো গ্রামের মানুষরাও জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। এখানে একটি নলকূপ বসাতে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার খরচ পড়ে। এত ব্যয়বহুল নলকূপ বসানোর সামর্থ্য এই গরিব এলাকার মানুষের নেই।
ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত, বেলাল, রিকু, উর্মি ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কমরুন্নাহার। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হেলাল ও রহিম ওরা প্রায় সময় পানি আনতে যায় বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া পানি আনতে বললে ওরা পালিয়ে যায়, অনীহা প্রকাশ করে!
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জোবাইর জসীম জানান, ‘জলের এই সমস্যার কথা বার বার জানিয়েছি। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে আমি আবেদন করেছি বাঁশখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে। কিন্তু জানি না কবে আসবে সাধের নলকূপ।’
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড