রাকিব হোসেন আপ্র, লক্ষ্মীপুর
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে হারিয়ে যাওয়া শিশু জাহিদ হোসেন সবুজকে (১০) লক্ষ্মীপুরে খুঁজে পেয়েছে তার বাবা-মা। প্রায় আড়াই মাস পর একমাত্র ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা। রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী। এ যেন বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর কাহিনীর মতো এক বাস্তব ঘটনা।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কামাল হোসেন পাটওয়ারী তার পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। তার পরিবারে রয়েছে, স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও একমাত্র ছেলে। কামালের পৈত্রিক নিবাস লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামে। শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
গত ৯ জুন রাজধানীর মিরপুর থেকে হারিয়ে যায় সিএনজি চালক কামালের একমাত্র ছেলে জাহিদ হোসেন সবুজ। পরে যাত্রীবাহী বাসে করে অপ্রত্যাশিতভাবে লক্ষ্মীপুর শহরে চলে আসে শিশু সবুজ। রাস্তায় এক রাত কাটানোর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশ। শিশুটি নাম ঠিকানা বলতে পারেনি, তাই আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে জেলা সরকারি শিশু পরিবারে রাখা হয়।
এরপর গত ২২ আগস্ট শিশুটির বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান খুঁজে বের করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী। পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ দিকে দীর্ঘ ২ মাস ১৬ দিন পর সন্তানকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিশু সবুজের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা।
সবুজের মা শাহিদা বেগম সুমি জানান, ‘আমাদের একমাত্র ছেলে সবুজের খোঁজ চেয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেছি, পোস্টার লাগিয়েছি, ফেসবুক ও পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তবুও তাকে না পেয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। পরে লক্ষ্মীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আমার সন্তানকে ফিরে পেলাম।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী দৈনিক অধিকারকে বলেন, শিশুটি প্রথমে নাম ছাড়া তেমন কোনো পরিচয় বলতে পারেনি। পরে গত ২২ আগস্ট চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কালির বাজারের কথা বলছিল সে। ওইদিনই তাকে নিয়ে সেই এলাকায় রওনা হই। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার খালাম্মা ও নানার বাড়ির অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সন্ধান পাই। তারাই শিশু সবুজের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। এরপর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড