পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলায় পরকীয়া সন্দেহে বাড়ি ফেরার ১২ ঘণ্টা পরেই স্ত্রী তৃষা খাতুনকে (২৩) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী স্বামী আতাহার আলীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর নিহত স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৃষা খাতুন উপজেলার পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী আতাহার আলী পলাতক রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে আতাহার আলী বিদেশে থেকে বাড়ি আসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চার বছর আগে তৃষা খাতুনের সঙ্গে পরিবারিকভাবে বিয়ে হয় চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামের আতাহারের। বিয়ের দুই বছর পর আতাহার মালোশিয়া চলে যান। শুত্রবার (২৩ আগস্ট) বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন আতাহার। এর পরদিন সকালেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত তৃষার বাবা কোরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, জামাতা আতাহার আলী ঘটনার দিন তুচ্ছ কারণে তার মেয়ের মাথায় ও কানে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তৃষা এমনকি তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ফলে অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামী আতাহার স্ত্রী তৃষার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আতাহারের এক প্রতিবেশী বলেন, বিদেশ থেকে স্বামী আসার পরদিনই কোনো স্ত্রী আত্মহত্যা করবে এটা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
এ দিকে, তৃষার শাশুড়ি আনজু আরা জানান, তৃষা মুঠোফোনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলত। এই কথা বলাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে তৃষার শ্বশুড় শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকালে তার বড় ছেলে আতাহার মালেয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসে। পরদিন শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আতাহার তৃষাকে মারপিটও করে। সেই অভিমানে তৃষা বিষপান করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকালে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি মাসুদ রানা আরও বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড