সারাদেশ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ভাবনা (৩০) নামে এক হিজড়ার বুকে ঠাঁই হলো মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর (পাগলি) দেড় বছরের কন্যা।
জানা যায়, বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে আখাউড়া পৌরসভার খরমপুর কেল্লা বাবার মাজারে এক ছোট্ট শিশুর চিৎকার ভেসে আসছিল। চিৎকার শুনে ছিন্নমূল দুই কিশোরী ছুটে যায় সেখানে। তারা গিয়ে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন এক পাগলি তার সন্তানকে সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিচ্ছেন এবং গলাটিপে ধরছেন। এ সময় ওই কিশোরীরা পাগলির কাছ থেকে তার দেড় বছর বয়সের শিশু সন্তানকে নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করে।
পরে ওই ছিন্নমূল কিশোরীরা পাগলির সন্তানকে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে মেয়েটিকে গোসল করিয়ে নতুন জামাকাপড় কিনে কিছু খেতে দেয়। বিষয়টি নজরে আসে স্টেশনে থাকা ভাবনা নামক এক হিজড়ার। ওই কিশোরীদের সঙ্গে ভাবনা হিজড়ার পরিচয়ের সুবাধে পাগলির সন্তানকে সে লালন-পালনের জন্য কিশোরীদের কাছ থেকে মেয়েটিকে নিয়ে আসে। পাগলির সন্তানও তাদের আদর, মায়া-মমতা পেয়ে বেশ খুশিতে সময় পার করছে।
এ বিষয়ে ভাবনা হিজড়া জানান, ‘কখনো বাবা কিংবা মা হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু আমারও স্বাদ বা ইচ্ছা জাগে মা কিংবা বাবা ডাক শুনতে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই পাগলি তার সন্তানকে সিগারেটের আগুনে ছ্যাকা দিচ্ছেন, গলাটিপে ধরছেন। আবার কখনো ব্লেড দিয়ে ছোঁয়া দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, শিশুটি এখন অসহায়। আমি একজন অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখন সে আমার আদর পেয়ে অনেক খুশি। আমারও বুকটা ভরে গেছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, শিশুটির মা যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন। তার শিশুসন্তানকে নির্যাতন করে যে কোনো মুহূর্তে সে হত্যা করতে পারে। তাই আপাতত ওই ভাবনা নামক হিজড়ার হেফাজতে আছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড