কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ভুরুঙ্গামারী থানায় অবস্থান নেয় এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাইশমারী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের মেয়ে। সে বাইশমারী ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের কন্যা ফাহিমা খাতুন (১৩) পাঁচ দিন পূর্বে সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে মামির সঙ্গে মামির বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর মধ্যে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ফাহিমা মুঠোফোনে তার বাবাকে বাড়িতে তাকে নিয়ে যেতে বলে। এর ঘণ্টা খানেক পর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফোন আসে তার মেয়ে অসুস্থ।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে ফাহিমার মামা হাফিজুর রহমান, মা মর্জিনাসহ তার বাবা ফরহাদ হোসেন আত্মীয়ের বাড়িতে এসে জানতে পারেন তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু আত্মহত্যা কী কারণে করেছে তা কেউ বলতে পারছিল না। পরে ওই কিশোরীকে তার মা-চাচিরা ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পান তার গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে কাপড় দিয়ে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করাও হয়েছে।
পরে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বুধবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা ফরহাদ হোসেন থানায় মামলা করতে আসলে অপমৃত্যু মামলা নেয় পুলিশ। এ দিকে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা থানায় আসেন মামলা নেওয়ার দাবি নিয়ে। তবুও মামলা নেয়নি থানার ওসি।
মেয়েটির মামা হাফিজুর রহমান জানান, মেয়েটির আত্মহত্যার প্রশ্নই আসে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, আত্মহত্যা সম্পর্কে কিছুটা অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড