গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। বন্যা কবলিত বাড়িগুলো মেরামত করে পুনরায় বসবাস করার আগেই আবারও নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘরগুলো।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা ও সদর, ফুলছড়ি সাঘাটা উপজেলার ব্রক্ষপুত্র নদে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙনে ভিটে-মাটি হারাচ্ছে সুন্দরগঞ্জে কাপাশিয়া, ভাটি কাপাশিয়া ও লালচামার, উজান বুড়াইল, সদরের কামরজানির গোঘাট, কুন্দেরপাড়ার, ফুলছড়ির কেতকির হাট, বরমতাল, গোবিন্দি সাঘাটার হলদিয়া, নলছিয়ার মানুষগুলো। নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে চর চিথুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেতকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলছড়ির চন্দনশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছে ওয়াপদা বাঁধ ও উঁচু স্থানে। অনেকেই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি-ঘর। নদী ভাঙন পরিবারগুলো সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
ভাঙন কবলিত জোব্বার আলী বলেন, বন্যায় বাজার-স্কুল-মসজিদ-মাদ্রাসা সবই নদীতে ভেঙে গেছে। আমাদের সব শেষ, সর্বস্বান্ত করে হয়ে গেছি। ফসল তো নাই বাড়ি ঘরও নদী ভেঙে নিয়েছে। কী করি, কোথায় যাব। খুব কষ্টে আছি।
ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ (ছবি : দৈনিক অধিকার)
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেছুর রহমান নদী ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, বিভিন্ন স্থানে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে এবং স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধে ৪শ ১ কোটি ও ৭শ ২০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষা রয়েছে। অনুমোদন হলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু হবে।
এ দিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা, নদী পাড়ের মানুষদের।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড