বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে মাকড়খোলা গ্রামে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসা ছাত্রী আদুরী (১৩)। বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘বর’কে ১০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়খোলা গ্রামের আকিমুদ্দিনের মেয়ে মাকরখোলা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আদুরী খাতুনের (১৩) সাথে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ইকবাল হোসেনের (১৫) বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিয়াকত আলী সেখ ও শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এ সময় মেয়ের বাবা আকিমুদ্দিন তার মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বর ইকবালকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন ও ‘কনে’কে স্বাস্থ্য ও বয়স বিবেচনায় ছেড়ে দেন। এছাড়া কনের বাবা আকিমুদ্দিনকে ৫ হাজার, বরের বাবা মহসীন আলীকে ৫ হাজার ও কাজী আব্দুস সালামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, বর ইকবাল কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে বরকে ১০ দিনের জেল দেয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড