টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়া ও টাকা চাওয়ায় ভাই-বোনের হাতে খুন হয়েছে। সৌদি প্রবাসী যুবক। নিহত যুবকের নাম মোশারফ মিয়া (২৫)।
জানা যায়, হত্যার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। নিহত যুবক ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মাইদারচালা নয়াবাড়ি গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে।
খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী নাছিমা (৩৫) ও তার ভাবী সোনিয়াকে গ্রেফতার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। মামলার অন্যতম আসামি নাছিমার ভাই কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের মৃত মেছের আলী মন্ডলের ছেলে ও ভিয়াইল মাদ্রাসার শিক্ষক আকতার হোসেন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রবিবার বিকালে কদমতলী গরুর হাট থেকে ফেরার পর রাত ৯টায় নিখোঁজ হন মোশারফ। পরদিন ঘাটাইল থানায় নিখোঁজের জিডি করা হয়। জিডি ও মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রতিবেশী নাছিমাকে ১৬ আগস্ট রাতে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফের সঙ্গে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন নাছিমা। গত ৪ আগস্ট রাতে মোশারফকে ডেকে নিয়ে নাসিমা ও তার ভাই আকতার মিলে তাকে খুন করে। ১৭ আগস্ট বিষয়টি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাছিমা। এ দিকে নাছিমার ভাবী আকতারের স্ত্রীকেও আটক করে পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার বাদী নিহত মোশারফের ছোট ভাই কলেজছাত্র সজিব মিয়া জানায়, ২০১২ সাল থেকে আমার ভাই সৌদি আরবে ছিলেন। তিনি কষ্টার্জিত অধিকাংশ টাকা-পয়সা নাছিমাকে পাঠিয়েছেন। এবার রমজান মাসে দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে নাছিমা ও তার ভাই মিলে আমার ভাইকে নির্মমভাবে খুন করেছেন। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, গত ৪ আগস্ট রাতে মোশারফ মিয়াকে হত্যা করে কালিহাতীর গজারিয়া বিলে লাশ গুম করে। পরকিয়া ও পাওনা টাকা চাওয়া থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মোশারফের ভাই সজিব মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাছিমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জেল হাজতে আছেন। আর নাছিমার ভাবী সোনিয়াকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হলে তার স্বামী আকতার হোসেন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, লাশের নখ ও পায়ের চামড়া পাওয়া গেলেও লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড