সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিজারের অপারেশনের পর পেটে গজ রেখে সেলাই করেছেন চিকিৎসক। পরে ঘটনার তিন মাস পর আবারও অপারেশনার মাধ্যমে বের করা হয় সেই গজ। তবে এতে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন নি গৃহবধূ নুপুর। যন্ত্রণায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শহরতলীর রায়পুর পশ্চিমপাড়া গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নুপুর ওই এলাকার নুরাল শেখের মেয়ে ও সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের শহীদুলের স্ত্রী। সিজারের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জম্ম দেন নুপুর। বর্তমানে সন্তান সুস্থ থাকলেও মায়ের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
জানা যায়, গত ৮মে সিরাজগঞ্জের কমিউনিটি হাসপাতাল কমপ্লেক্সে সিজারের অপারেশন হয় নুপুরের। অপারেশন করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমল কান্তি দাস। অপারেশনের সময় পেটের ভিতরে গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয়। পরে পেটের ভেতর গজ নিয়ে যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করেন গৃহবধূ নুপুর।
কমিউনিটি হাসপাতাল কমপ্লেক্স (ছবি- দৈনিক অধিকার)
আরও জানা যায়, ব্যাথা সইতে না পেরে বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন নুপুর। তারপরও রোগ নির্নয় হচ্ছিল না। একাধিক বার পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ধরা পড়ে পেটের ভেতর কিছু একটা আছে। পরে বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতালে চলতি মাসে প্রথম দিকে আবারও অপারেশন করানো হয়। অপারেশন শেষে নুপুরের পেট থেকে গজ ব্যান্ডেস বের করা হয়। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডা: আশরাফুল ইসলাম।
গৃহবধূ নুপুর বলেন, আমার স্বাভাবিক জীবন ছিল। ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক আমার স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি সুস্থ হতে চাই।
গৃহবুধূর বাবাব নুরাল শেখ বলেন, কমিউনিটি হাসপাতালে আমার মেয়ের সিজার করেন ডা. কমল কান্তি দাস। মেয়ের সিজারের বিল করেন ১৩ হাজার টাকা। আমি কতৃপক্ষের হাত-পা ধরে ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করি। তারপরও আমার মেয়ে এই হাল করলেন চিকিৎসক। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ডা: কোমল কান্তি দাস অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। তবে এ ঘটনা নিয়ে শহরের বড় বড় প্রভাবশালী লোক সমাধানের চেষ্টা করছে।
সিভিল সার্জন ডা: জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু রোগীর অবস্থা ভালো না। তাই দ্রুত রোগীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড