• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রায় দুইশো কোটি টাকা ঋণের কবলে দর্শনা কেরু চিনিকল

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

২০ আগস্ট ২০১৯, ১৩:২৬
চিনিকল
কেরু চিনিকল (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কেরু চিনিকলের নামে ১৯৭ কোটি টাকা ইক্ষু ঋণ নেওয়া হয় দর্শনা জনতা ব্যাংক শাখা থেকে। সেই ঋণ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষের। কেরু চিনিকলের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খাদ্য ও চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন বিভিন্ন চিনিকলের সেই টাকা ইক্ষু ঋণ হিসাবে দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সুবিধা ভোগ করলেও সুদসহ ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষের।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবছর দর্শনা কেরু চিনিকল প্রতিষ্ঠানটি চিনি উৎপাদন বিভাগে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণে থাকে। চিনি উৎপাদন বিভাগে লোকসান করলেও ডিস্টিলারি বিভাগ তা পুষিয়ে দেয়। লাভ লোকসানের এ দোলাচলে কেরু চিনিকলের সম্পদ মর্টগেজ রেখে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন চিনিকলের আখ চাষিদের ঋণ দেওয়ার অজুহাতে ১৯৭ কোটি টাকা দর্শনা জনতা ব্যাংক শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যে ঋণের একটিও টাকা কেরু চিনিকলের কর্মকর্তা শ্রমিক কর্মচারী কিংবা দিন হাজিরা লেবার পর্যন্ত ভোগ করেননি। অথচ এই ঋণের বিপরীতে প্রতিবছর কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ ১৭ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করে থাকে। এমনিতেই প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের বোঝা ভারী হচ্ছে। তারপর অন্যের ঋণের মূলধনসহ সুদের টাকা পরিশোধ করার দায়ভার বহন করতে হচ্ছে। এ ঋণ এখন কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একটি সূত্র বলছে এই ইক্ষু ঋণটি করা হয় সাবেক খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেনের আমলে। কীভাবে ঋণ বিতরণ আর কোন কোন প্রতিষ্ঠানের চাষিরা ঋণ পেল তার কোনো হিসাব নেই কেরু কর্তৃপক্ষের কাছে। অথচ সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করে চলেছে কেরু কর্তৃপক্ষকে। ভবিষ্যতে বিতরণকৃত ঋন আদায় না হলে তা পরিশোধ করতে হবে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে বর্তমান কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ আলী আনসারী জানান, ঋণের কোনো সুবিধা কেরু চিনিকলের কেউ ভোগ করল না অথচ বছর বছর ১৭ কোটি টাকার সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানকে। তারপরেও ঋণের মূলধনের টাকা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিল্প স্থাপনাগুলোর মধ্যে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৮ সালে এ চিনিকলটি প্রতিষ্ঠত হয়। বয়স ৮১ বছর। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ দর্শনা চিনি শিল্প, ডিস্টিলারি ও বাণিজ্যিক খাবারের সমন্বয়ে এ বৃহৎ শিল্প কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত। প্রাথমিকভাবে দৈনিক এক হাজার টন আখ মাড়াই করার মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয় এবং তখন থেকে অদ্যবদী এটি কেরু অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ লি. নামে বাংলাদেশে সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ড্রাসট্রিজ কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত হয়।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড