সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের ভদ্রাবতী নদী ও বেহুলার খালের নয়টি পয়েন্টে অবৈধ সোঁতিজাল ও বাঁশ পুঁতে বেড়া দিয়ে ছোট-বড় সব ধরণের মাছ নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে। এতে উজান থেকে বন্যার পানি নামার পথে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ ধরায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে এ এলাকার চলতি রোপা মৌসুমের প্রায় ৩শ’ হেক্টর রোপণ করা রোপা ধান তলিয়ে গেছে।
সোমরার সরেজিমনে গিয়ে ও তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর ও ৬ হাজার ১১০ হেক্টর সরিষা। সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় ৮শ হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন নষ্ট হয়েছে।
বোরো ধানের দাম কম হওয়ায় এবং বীজ সঙ্কটের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এ অঞ্চলের কৃষক। তারা আবারও জমি প্রস্তুত করে রোপা আমনের চারা রোপন করেন। কিন্তু ভদ্রাবতী নদী ও বেহুলার খাড়িতে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য বাঁধ সৃষ্টি করায়, উজান থেকে গড়ে আসা ঢলের পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে না পারায় তালম ইউনিয়নেরর বেশির ভাগ রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, সোঁতি জালের কারণে এ এলাকার রোপা ধান তলিয়ে গেছে। দ্রুত এসব সোঁতিজালের বাধা অপসারণ না গেলে ক্ষতিরমুখে পড়তে হবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর মাসের মধ্যে যদি পানি না নামে তাহলে ৬ হাজার ১১০ হেক্টর সরিষা চাষীদের ক্ষতি হবে। তাই অচিরে সোঁতিজাল অপসারণ করা দরকার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মাধ্যমে অবৈধভাবে স্থাপন করা সব সোঁতিজাল অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড