ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল গ্রামে জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু মিয়া, নিহত তুহিনের বাবা রায়হান মাতুব্বর, নিহত রওশন আলীর স্ত্রী সামিয়া খানম, বড় ভাই ওসমান মাতুব্বর ও মেয়ে তৃষ্ণা খানম উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ফরিদপুর প্রেসক্লাবে একই দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত মিরাজুল ইসলাম তুহিনের বড় বোন আসমা বেগম বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তার ভাই হাসানের নেতৃত্বে গুলি বর্ষণের এ ঘটনায় আমার ভাই ও চাচা নিহত হন। আহত হন অনেকে। তাদের কয়েকজন এখনো ঢাকা ও ফরিদপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার এবং অস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু হামলাকারীদের লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে যে, তারা দ্রুতই জামিনে বেরিয়ে আসবে এবং তাদের কিছুই হবে না। এ ধরনের হুমকিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন উল্লেখ করে আসমা বেগম বলেন, তিনজন আসামি গ্রেফতার হলেও অন্যরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাদের গ্রেফতার করে দ্রুত এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা রওশন আলী মিয়া (৫২) ও তার ভাতিজা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিরাজুল ইসলাম তুহিন নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন।
এ ঘটনার পরদিন মাদারিপুরের শিবচর থেকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয় (৩৯), তার সহযোগী তাপস (৩০) ও গাড়ি চালক মো. আক্তারকে (২৩) গ্রেফতার করে। তাদের নিকট থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার হয়।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড