সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা চার শতাধিক অতিক্রম করেছে। ঈদে সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ঈদের ছুটির পরপর আবার বাড়তে শুরু করেছে। যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের কেউ এখন পর্যন্ত সিলেট থেকে আক্রান্ত হননি। তাদের সবাই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন।
ঈদ পরবর্তী সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার যে আশঙ্কা ছিল তা ছড়াতে পারেনি। সকলের সচেতনতার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। সিলেটে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়ার পরও ছড়াতে পারেনি সকলের সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কারণে। তাই সকলকে সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিলেটে ঈদের ছুটির পর আবার বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। এখন পর্যন্ত সিলেটে ৪১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর থেকে সিলেটে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। ডেঙ্গুর জন্য আগামী এক সপ্তাহ সময় ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষজনের মাধ্যমে সিলেটে ডেঙ্গু আরও মারাত্মক রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে ঈদ পরবর্তী ডেঙ্গুর ভয়াবহ আকারে না ছাড়ানোর কারণে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন সেক্টরের প্রধানরা। সিলেট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৪১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সিলেটে এখনো কেউ মারা যাননি।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. দেবপদ রায় বলেন, ঈদ পরবর্তী ডেঙ্গু রোগী বাড়ার যে আশঙ্কা ছিল সেটা আর নেই। কারণ ঈদের পর অনেক কম সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টার রোগী ভর্তির সংখ্যা দেখে বোঝা যায় ডেঙ্গু সিলেট বিভাগে ভয়াবহতা ছড়াতে পারেনি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জনসচেতনতার জন্য।
সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা জনসাধারণকে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছি। স্থানীয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছেন। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জেলা ভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে। এসব অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। যার ফলে সিলেটে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও ভালোভাবে প্রজনন করতে পারেনি। তাই এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। বৃষ্টির পানি যেন কোথাও জমে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি বিপদজনক তাই সিলেটে এডিস মশার লার্ভা ও এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়ার পর অনেক শঙ্কায় ছিলাম আমরা। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করার জন্য স্থানীয় জনগণকে নানাভাবে সচেতন করেছি আমরা। পোস্টারিং, মাইকিং, সভাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটবাসীকে সচেতন করা হয়েছে। যার ফলে সিলেটে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড