হাসপাতালে চাকরি নিতে আসা গারো তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা

ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নিতে আসা এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এবং মূল হোতাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় হাসপাতালের মালিককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক পালিয়ে গেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলাম এ ঘটনার শিকার তরুণীর মামলার বরাত দিয়ে জানান, ‘ভুক্তভোগী’ গারো তরুণী গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাসপাতালটির মালিক ও ব্যবস্থাপকের নাম উল্লেখ করে মামলা করার পর মালিককে আটক করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, পদ্মা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালে সেবিকার (নার্স) চাকরি নিতে আসেন গারো পাঁচ তরুণী। এর মধ্যে ওই তরুণীকে হাসপাতালে ব্যবস্থাপক আলম মিয়া পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি টের পেয়ে বাকি চার তরুণী প্রতিবাদ করেন। এ সময় হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান বাবুল এ বিষয়টি আপোষে মীমাংসার চেষ্টা চালান। এই ফাঁকে ব্যবস্থাপক আলম মিয়া পালিয়ে যান বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আটককৃত মজিবুর রহমান বাবুল শহরের ব্রাহ্মপল্লী এলাকার পদ্মা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক। মামলার মূল আসামি হাসপাতালটি ব্যবস্থাপক আলম মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় তাকে আটক করা হয়েছে। আলম মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’

ওডি/এসজেএ