কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ কম্পেরহাট এলাকার বিধবা হাজেরা বেওয়া (৪৮) প্রতিবন্ধী সন্তান হাফিজুরকে (২০) ফিরে পেতে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রায় আট মাস আগে সন্তান হারিয়ে গেলেও এখনো আশা ছাড়েননি তিনি।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে এই মা সংবাদকর্মীদের অনুরোধ করেন তার সন্তানকে খুঁজে পেতে।
হাজেরা বেওয়া জানান, দশ বছর আগে তার স্বামী আব্দুল ওয়াহাব আলী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন হাফিজুরের বয়স দশ বছর। স্বামীর মৃত্যুতে ছেলে হামিদুল ও বড় মেয়ে আলেয়াকে নিয়ে অথৈ সাগরে পরেন তিনি। এরপর বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর তার জামাইসহ সাভারের বাঘের বাজারে লিপি গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। ছয় বছর পূর্বে তার বড় ছেলে হামিদুলও ধামরাই নবীনগরে কাজ করতে যায়। পরে অসুস্থ হাফিজুরকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন হাজেরা বেওয়া।
তিনি আরও জানান, ঘটনার তিন মাস পূর্বে ঢাকায় মেয়ের কাছে ছোট সন্তানসহ আশ্রয় নেন হাজেরা বেওয়া। এ সময় তিনি অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। এরই ফাঁকে একদিন ছেলেসহ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এলাকায় কাজ খুঁজতে গিয়ে প্রতিবন্ধী ছেলে হাফিজুরকে হারিয়ে ফেলি। ছেলেকে হারিয়ে ফেলার পর আজ পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি।
এ ঘটনায় ৩-৪ দিন ধরে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও সন্তানের মুখ দেখতে না পেয়ে পাগল প্রায় হয়ে গেছেন মা। এ নিয়ে গাজীপুর হতাপাড়া থানায় সন্তান হারানোর জন্য জিডি করেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছেলের সন্ধান পাননি তিনি।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে এই মা কান্না স্বরে সংবাদকর্মীদের জানান, ‘বাবাজিরা হুনলাম তোমাগো কইলে পত্রিকায় ছবি দিলে আমার পোলাডা ফিরা পাওন যাইবো (বাবারা শুনলাম তোমাদের বললে পত্রিকায় ছবি দিলে আমার ছেলেকে ফিরে পাবো)। তাই ঢাহাতন ছুইট্টা আইছি (তাই ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি)। আমাগো পোলাডারে একটু খুইজা দেন বাবাজিরা (আমার ছেলেটাকে একটু খুঁজে দেন বাবারা)।’
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড