বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর-বালুয়াহাট সড়কে অবস্থিত দুইটি ব্রিজের দুই পাশে বন্যার পানির স্রোতে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুইটি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
জানা গেছে, বিগত ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর-বালুয়াহাট সড়কটি ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের (দ্বিতীয় টার্মে) ২০১৫ সালে দীর্ঘ ২৭ বছর পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটি সংস্কার ও কার্পেটিং করা হয়। সড়কটি নির্মাণ কালে গোবরচাপা বিলের উপর দুইটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এতে করে সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়। রাস্তাটি নির্মাণের ফলে ওই দুইটি ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমে আসে।
চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় পানির স্রোতের তোরে ওই সড়কে অবস্থিত দুইটি ব্রিজের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই দুটি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের পাশাপাশি গোটা উপজেলার প্রায় দুই লাখ পথচারীকে দূরের পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে পথচারীদের সময় অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে তাদেরকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে। এছাড়াও স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সোনাতলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলু জানান, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার পথচারী ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, মিনিবাস, মাইক্রোবাসযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।
বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রুহুল আমিন জানান, এই এলাকাটি কৃষি অঞ্চল। এ এলাকার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসল এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে কৃষি পণ্য সময় মতো বাজারজাত করতে পারছে না কৃষকরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন জানান, সড়কটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। তিনি দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, বন্যার পর কিছুকিছু সড়ক ও রাস্তা মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এ দুইটি ব্রিজের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি, তবে আমরা বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করছি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড