ফিরোজ মোস্তফা, বরিশাল
ঈদুল আজহার ষষ্ঠ দিনে বরিশাল নৌ-বন্দরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যা ফিরতি যাত্রার সর্বোচ্চ যাত্রীচাপ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
গত দুই দিনের চেয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। ফলে রাজধানীমুখী লঞ্চের সংখ্যাও বেড়েছে। বিকাল থেকে দিবা সার্ভিস ও ভায়াসহ ২৫টির ওপর নৌ-যান বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছে। এছাড়া সরকারি একটি নৌ-যানও বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে।
লঞ্চের স্টাফেরা জানিয়েছেন, যাত্রী পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্দেশে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই ঘাট ত্যাগ করছে। তবে বিকালের মধ্যেই কেবিনের যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে বলায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এর আগে স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চগুলো যাত্রীদের ঢাকায় নামিয়ে দিয়ে দুপুরের মধ্যেই বরিশালে এসে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার রাত্রিকালীন সার্ভিসের নির্ধারিত লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলার কোনো হাঁক-ডাক নেই। যে যেমন করে পারছে কোনো মতো লঞ্চে জায়গা নিয়ে উঠে পড়ছেন। তবে বিকালের প্রতিটি লঞ্চের ডেকেই যাত্রী কানায় কানায় ভরে গেছে। এর আগে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে গ্রিন লাইন কোম্পানির দুইটি এবং নিজাম শিপিং লাইন্সের মোট তিনটি ওয়াটারবাস বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
লঞ্চ যাত্রী আশরাফ জানান, ‘লঞ্চে ভিড় হতে পারে তাই আগে-ভাগেই ঘাটে এসেছি। লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে সিট নিয়েছি। আশা রাখি এ যাত্রায় কোনো অসুবিধা হবে না।’
লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের ভিড় (ছবি : দৈনিক অধিকার)
বরিশাল নৌ-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ‘আমরা কোনো লঞ্চ ওভার লোড হয়ে ছাড়তে দিচ্ছি না। লঞ্চ ছাড়ার আগে চেক করা হচ্ছে। বিশেষ করে লোড লাইন দেখে নিচ্ছি।’
তিনি জানান, বরিশালের লঞ্চ যাত্রীদের জন্য এবার নতুন দুইটি বিলাসবহুল লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। আর যাত্রীদের নিরাপত্তায় রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যে কারণে এবার ঈদুল আজহায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরেছেন। তেমনিভাবে এখন যাত্রীরা কর্মস্থলেও যেতে পারছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের ভেতরে এবং বাইরে চাপ বাড়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বরিশাল মহানগর পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মেরিন ক্যাডেট ও স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, যেসব যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারবে না তাদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা রয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নদীবন্দর এলাকায় তাদের কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করছেন বলেও জানান তিনি।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড