হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামে নাজমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকালে সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান ও এসআই এস এম আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত নাজমা হবিগঞ্জ শহরের পূর্ব মাহমুদাবাদ এলাকার দুবাই প্রবাসী শফিক মিয়ার মেয়ে।
নিহত নাজমার বাবা দুবাই প্রবাসী শফিক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নাজমার চাচা জানান, গত দুই বছর আগে নাজমাকে যমুনাবাদ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক শরীফ মিয়ার (৩০) সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারে শরীফ মাদকসেবী। সে প্রায়ই নাজমার ওপর নির্যাতন চালাত। বর্তমানে নাজমা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে সদর হাসপাতালের একজন নার্সের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটায় শরীফ। পরে সন্তান নষ্ট করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন নাজমা এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বাবার বাসায় চলে আসে নাজমা।
এদিকে নাজমার স্বামী শরীফ স্থানীয় মুরব্বীদের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলে অবশেষে নাজমার মা তাকে স্বামীর বাড়িতে দিতে রাজি হন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে যমুনাবাদের মাতব্বর হাসন আলী ও নুর হোসেনের মাধ্যমে শরীফ শ্বশুর বাড়ি থেকে নাজমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পর পরই তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের বিষয়টি নাজমা হাসন আলীর মাধ্যমে তার পরিবারকে জানায়।
শুক্রবার সকালে শরীফের বাড়ি থেকে নাজমার বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয় যে, নাজমা আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তারা দেখতে পান নাজমার মৃত দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাছাড়া স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। এতে তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
নাজমার মা জায়েদা বেগম জানান, শরীফ ও তার পরিবারের লোকজন নাজমাকে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করেছে। এ কারণে ওই মুরব্বীরা এবং শরীফ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার জন্য নাজমাকে কৌশলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নেব।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড