রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেছেন, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে রাজবাড়ীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে। অথচ সদর উপজেলার জৌকুড়া ঘাট এলাকায় ড্রেজার দিয়ে কাটা হচ্ছে বালু। নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হলে বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। আগামী বছর জৌকুড়া থেকে গোদার বাজার পর্যন্ত কোন বালু মহল ইজারা দেয়া হবে না। জেলা প্রশাসক এ ব্যবস্থা করবেন এবং তিনিও বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে কথা বলবেন।
বুধবার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় কথাগুলো বলছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সভায় যা আলোচনা করা হয়, তার কোন ফলোআপ করা হয়না, নেয়া হয়না কোন ব্যবস্থা। ফলে আলোচনা করে কোন লাভ হয় না। আগামীতে যেন এ অবস্থা না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে সবাইকে ।
তিনি আরো বলেন, ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ব বেড়েছে। তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করার যোগ্যতা নির্নয় করা অত্যন্ত জরুরী।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান সরকার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, এ্যাডঃ দেবাহুতি চক্রবর্তী, হেদায়েত আলী সোহরাব, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সৌমিত্রশীল চন্দন প্রমুখ।
ওই সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে লঞ্চে ১৫০ জন যাত্রীর বেশি যাতে তোলা না হয় সে ব্যবস্থা করা হবে। হেলমেট ছাড়া কোন ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালাতে পারবে না। পুলিশ ভেরিভিকেশনের নামে পাসপোর্ট বাবদ টাকা নেয়ার বিষয়টি দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, এবারের সভায় যা আলোচনা করা হয়েছে, তার সব কিছুর ফলোআপ আগামী সভায় জানানো হবে। সেই সাথে যে সব বিষয়ে অভিযোগ এসেছে সে সব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড