নীলফামারী প্রতিনিধি
কুরবানির পশুর চামড়া বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে ক্রয় করে এনে অধিক লাভের আশায় বিক্রি করতে আসে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নিয়মিত ব্যবসায়ীদের কাছে দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
বিষয়টির সাথে একমত পোষণ করেছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম খুটামারার কোরবানির চামড়া বিক্রেতা জাহেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম এবং মৌসুমি ব্যবসায়ী অলিয়ার রহমান।
চামড়া বিক্রি করতে গিয়েও হোঁচট খাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা । এক লাখ টাকায় কেনা একটা গরুর চামড়ার দাম এক ব্যবসায়ী বলছেন কিনা ২০০ টাকায়। বিক্রি করতে গেলে অর্ধেক দামও না থাকায়, পরে তিনি সেই চামড়া স্থানীয় এক এতিমখানায় দান করেছেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আরও অনেকে । এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম একেবারেই কম বলা চলে। যারা কোরবানি দিয়েছেন, তারা যেমন চামড়ার দাম পাননি, তেমনি দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও।
বুধবার বিকেলে জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ছোট চামড়ার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বড় চামড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও অনেক কম।
কিশোরগঞ্জ পুটিমারী ইউনিয়নের খোকার বাজার নামক এলাকায় কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার কমিয়ে দিয়েছেন। তারা আরো বলেন, যে চামড়া কিনেছি তার খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হবে। প্রথমে তিন থেকে পাঁচশত টাকায় চামড়া ক্রয় করেছি, পরে জানতে পারলাম চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, চামড়া প্রতি খরচ পড়ছে এক থেকে দেড়শ টাকা। এই টাকা তুলতে না পাড়লে লোকশান গুনতে হবে।
অপরদিকে কোরবানি যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, চামড়া বিক্রির টাকা কোন গরীব ও এতিম মিছকীনদের দিতে পারছি না। চামড়ার বাজার শুনে তারাও ভয়ে কিছু বলতে পারে না এবং আসে না। আবার কেউ বলছে দামে গরু কিনে কোরবানি দিয়ে কম দামে বিক্রি করেছি এটা জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা ।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড