বগুড়া প্রতিনিধি
ঈদের দিন এক কাপ লাল চা ১০ টাকায় বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ টাকায়। অনেকে আবার গরু-খাসির সঙ্গে ফ্রি দিয়েছেন বকরির চামড়া। দাম কম থাকায় বিক্রি না করে অনেকে মাদ্রাসায় দান করেছেন কুরবানির পশুর চামড়া। এছাড়া মহিষ, গাভীর চামড়া বিক্রি হয় ১২০টাকা থেকে ১৭০টাকা দরে।
সারাদেশের মতো বগুড়ায় এবার চামড়ার বাজারে ধ্বস নামায় কয়েকশ ক্ষুদ্র মৌসুমী ও খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপুল অংকের টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। গত বছর হাজার টাকার চামড়া এবার বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। আর খাসির চামড়া বিক্রি হয় ৫ থেকে ২৫ টাকা করে।
এদিকে সরকারিভাবে চামড়ার দাম বেধে দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা তা মানেন নি। এবছর জেলা শহরের গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বগুড়ার চমড়ার বাজার হিসেবে খ্যাত জেলা শহরে বাদুরতলা এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গত কোরবানীর ঈদে চামড়ার বাজারে ধ্বস ছিল। জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায় থেকে সর্বত্র ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে। আর গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।
বগুড়া জেলা চামড়া মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের যে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ শত টাকা সেই সাইজের চামড়া ২০১৮ সালের কুরবানির ঈদে বিক্রি হয়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকায়। এর আগে ২০১৬ সালে বিক্রি হয়েছে ১৩শ থেকে ১৪শ টাকায়। ২০১৮ সালে গরুর চামড়ায় বিক্রি হয়েছে সব্বোর্চ ১২শ টাকায়। আর এ বছর ২০১৯ সালে এসে দেড় লাখ টাকা মূল্যের কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬শ টাকায়।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চামড়া ক্রেতা বলেন, তারা ২শ থেকে ৭শ টাকায় গরু এবং ৫ থেকে ৪০ টাকায় খাসির চামরনা কিনেছেন।
বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার আতাউর রহমান জানান, দেড় লাখ টাকায় ষাঁড়ের চামড়াটি বিক্রি করেছেন ৫শ টাকায়। গত বছর এই মানের চামড়া ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার জানান, ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে ঈদের আগে পাওনা টাকা একাধিকবার চাইলেও পাওয়া যায়নি। বগুড়া ও শেরপুর উপজেলার চামড়া মালিকদের মোট পাওনা প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এবছর ঢাকার চামড়া মালিকরা কোনো টাকা দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও বগুড়ার ক্ষুদ্র ও চামড়া ব্যবসায়িরা এখনো বকেয়া টাকা পায় নি।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড