কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- শরীফ (৩৪) ও ফোরকান (২৯)। নিহতদের মধ্যে শরীফ শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে ও ফোরকান একই গ্রামের লাহুত আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শাহ জামাল (৩৫) নাম একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শ্যামপুর গ্রামের মো. বাক্কার মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক মিয়ার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ধীর্ঘদিন ধরে দুই জনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার ছোট ভাই মোল্লা গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ফারুক মিয়ার লোকজন তাকে মারধর করে। পরে এ বিষয়টি সে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। এ বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার পক্ষের লোকজন এগিয়ে গেলে ফারুক মিয়ার লোকজন তাদের উপর বন্দুক দিয়ে গুলি চালায়।
গুলিতে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার পক্ষের ফোরকান ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার ছোট ভাই শরীফকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া পেটে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত শাহ জামালকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, দুই পক্ষের আধিপত্যকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া নিহত দুই জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড