রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসানে পড়েছে মৌসুমি ক্রেতা ও পাইকারেরা। বেঁধে দেয়া নির্ধারিত দাম কম হওয়ায় এবং ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের কারণে দাম নেই চামড়ার। ঈদের আগের বাজারের চেয়ে চার ভাগের এক ভাগও দাম নেই চামড়ার। খাশি-বকরির চামড়া বিক্রি হচ্ছে না কোন দামেই।
রংপুর নগরীর শাপলা এলাকায় উত্তরের চামড়া ব্যবসার কেন্দ্র ৬ দশকেরও বেশি। জেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশ থেকে চামড়ার সরবরাহও আসে এই মোকামে। কিন্তু এবার ঈদের চামড়ার দাম না থাকায় ধস নেমেছে বাজারে। ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের কারণে সরকার নির্ধারিত দামের অনেক কমেও ক্রেতা নেই চামড়ার। তাই চামড়া বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়িরা। ফলে পাচারের আশংকায় আড়তদাররা। সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়িরা।
সরকার ও ট্যানারি মালিকরা যে দর বেঁধে দিয়েছে সেই দামও নেই রংপুরে। ফলে চামড়া কিনে সর্বশান্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ক্রেতারা। ঈদের আগে দেড় হাজার,দুই হাজারের বেশি দাম থাকলেও বর্তমানে দুই,তিনশ’ টাকায়ও ক্রেতা নেই চামড়ার। এ জন্য অসাধু ব্যবসায়িদের দায়ি করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা আশংকা করছেন চামড়া পাচারের।
সরকার ও ট্যানারির বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কিনতে পারছে না আড়তদাররা। ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনার বিশ শতাংশ টাকা পরিশোধ না করায় পুঁজির অভাবে লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করতে না পারায় রংপুরে চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত দুইশত ব্যবসায়ির মধ্যে টিকে আছে মাত্র ২০ জন। পুঁজি হারিয়ে চামড়ার ব্যবসার সাথে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ পথে বসেছে বলে জানান ব্যবসায়ি নেতারা।
রব্বানী মিয়া নগরীর গনেশপুর এলাকা থেকে দশটি খাসির চামড়া বিক্রি করার জন্য রিকশা করে শাপলা চত্বরে এসেছিলেন। ছাগলের চামড়ার চাহিদা না থাকায় রাস্তায় ঢেলে দিয়ে তিনি চলে যান।
নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে চামড়া সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদেরকে ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বেশি মূল্যে চামড়া কিনতে হয়েছে। কিন্তু চামড়া পট্টিতে বিক্রি করতে এসে তারা লোকসানের মুখে পড়েন। কেউ চামড়া কিনতে চাচ্ছেন না। নিলেও দাম কম। স্থানীয় কয়েকজনের সিন্ডিকেটে পুরো বাজারে চামড়া যেন পানির চেয়েও সস্তা।
স্থানীয় আড়তদাররা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, সরকার ও ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া দামে তারা চামড়া কেনার চেষ্টা করেছেন।
এবার চামড়া পট্টিতে ১৫ হাজারের ঊর্ধ্বে গরুর চামড়ার কেনাবেচার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও ঈদের দিন ও আজ মঙ্গলবার সন্ধা পর্যন্ত ৯ হাজারের মতো চামড়া সরবরাহ হয়েছে। এখানে ছাগল ও বকরির চামড়া ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড