যমুনায় নৌকা ডুবে ২ নারীর মৃত্যু, নিখোঁজ ৫

বগুড়ায় যমুনা নদীতে নৌকা ডুবে নিহত হয়েছেন দুই নারী। এ ঘটনায় শিশুসহ পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পাকুরিয়ার চর এবং বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আমেনা বেগম (৫৮) ও জোহরা বেগম (৩০)। ওই ঘটনায় দুই শিশু এবং অপর এক নারীসহ আরও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। হয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।

নিখোঁজরা হলেন- জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার পাকরল গ্রামের জওহর আলী ও তার ৭ বছরের কন্যা সুরমা। একই উপজেলার চর পাকেরদহ গ্রামের জাহেদুল, তার ২ মাস বয়সী শিশু। অপরজন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদাইড় গ্রামের রেজউল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম।

সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মানিকদাইড় ঘাট থেকে উপজেলা সদরের কালিতলা ঘাটের দিকে রওনা হয়। ঈদের পরদিন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যেই তারা নৌকায় উঠেছিল।

তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি পাকুরিয়ার চর এবং বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছার পর নৌকার তলা ভেঙে যায়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এরপর তীব্র স্রোতের মধ্যে যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে নিকটবর্তী তীরে উটেন। তবে দুই নারীসহ ৭ জন আর ফিরতে পারেন নি। পরে দুই নাীর লাশ নদীতে ভেসে উঠলেও অন্য পাঁচজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, নিহত আমেনা বেগম চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের মানিকদাইড় গ্রামের মনছের আলীর স্ত্রী। আর জোহরা বেগমের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়লাকান্দি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী। ওই দুই জনের মরদেহ সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল-আমিন জানান, বর্তমানে স্থানীয় নৌকার মাঝিদের মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। তাছাড়া রাজশাহী ও রংপুর থেকে ডুবুরি চাওয়া হয়েছে তারা এরই মধ্যে রওনা হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস বগুড়ার সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তাদের দুটি টিম কাজ করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে রাজশাহী থেকে ডুবুরি এসে সারিয়াকান্দি পৌঁছাবে।

ওডি/এসএ