এম মোবারক হোসাইন, পঞ্চগড়
ঈদের ছুটিতে হাজারো প্রাণের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পঞ্চগড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ঈদের দিন বিকাল থেকে মুখর হয়ে ওঠে এসব দর্শনীয়স্থানগুলো। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষ দলবেঁধে ঘুরে সময় কাটায় বিভিন্ন পার্ক কিংবা পর্যটনকেন্দ্রে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার তেঁতুলিয়ায়- শিশু পার্ক, চা বাগান, ডাকবাংলো, ডিসি পার্ক, বোদা হারবাল গার্ডেন, মহানন্দা নদীর পাড়, মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার স্মৃতিসৌধ, ভিতরগড়ের পৃথু রাজার মহারাজার দীঘি, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়ার মাজার, ইখতিয়ারউদ্দীন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর রাজনগড় ও পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীর পাড়ে বেড়াতে আসেন অনেকে।
পঞ্চগড় মিলগেইট এলাকা থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটক মাসুদ রানা দৈনিক অধিকারকে বলেন, প্রকৃতির হিমালয় কন্যার রূপ বৈচিত্র্য থেকে সত্যিই আমরা বিমোহিত। স্বপরিবারে এমন সুন্দর একটা জায়গায় আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। তাছাড়া সারিসারি চা বাগান,মহানন্দা নদী খুবই ভালো লাগে।
ঠাকুরগাঁও থেকে আসা মেহেদী হাসান মামুন দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমরা প্রতি ঈদে সব বন্ধুরা মিলে তেতুলিয়ায় বেড়াতে আসি। এখানকার প্রকৃতি অনেক সুন্দর। আমার এখানে ভীষণ ভালো লাগে। সমতল ভূমিতে সারি সারি চা বাগানে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানটা প্রকৃতির রূপের চাদরে মোড়ানো। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীর পাড়ে এলে খুব ভালো লাগে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সানিউল ফেরদৌস দৈনিক অধিকারকে বলেন, উত্তরের সর্বশেষ উপজেলায় পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তেঁতুলিয়াকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেরং কমপ্লেক্স নামে দৃষ্টিনন্দন একটি নতুন আবাসযোগ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটনে আমাদের আরও নতুন নতুন ভাবনা আছে। ধীরে ধীরে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড