রাজশাহী প্রতিনিধি
নগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কুরবানির বর্জ্য অপসারণ তদারকি করতে দেখা গেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র খায়রুজ্জজামান লিটনকে।
এদিকে কুরবানির বর্জ্য অপসারণে সকাল থেকেই কাজ শুরু করে রাসিকের একদল পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এসময় নগরবাসীও তাদের সহযোগীতা করেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরবাসী পশু কুরবানি দেওয়া শুরু করেন। নগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ড্রেনের ধার, মাঠসহ নিজেদের বাসা বাড়িতেও পশু জবাই দেয় নগরীর বাসিন্দারা। বেলা ১১ টার পর থেকে স্থানগুলোতে রাসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নির্দিষ্ট ভ্যানে করে কুরবানির বর্জ্য সংগ্রহ করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে তারা কুরবানির স্থানগুলো ধুয়ে ফেলেন। আবার নগরবাসীদের অনেকেই নিজ দায়িত্বে তাদের কুরবানি দেওয়া স্থানগুলোতে ছিটিয়ে থাকা রক্ত ধুয়ে ফেলেন।
অপরদিকে রাসিক বরাবরের মতো নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ২১০টি স্থান কুরবানির জন্য নির্ধারণ করে দেয়। তবে সে স্থানগুলোর বেশিরভাগের পরিবেশ অনুকূল না থাকার অভিযোগে এনে নগরবাসী ড্রেনের ধারে বা নিজ পছন্দের স্থানে পশু জবাই দিয়েছেন।
রাসিকের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উল আযিম জাননা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২১০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী একযোগে কাজ শুরু করে। সকাল থেকে তারা নির্দিষ্ট ভ্যান নিয়ে কাজে নেমে পরে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে ভ্যান দেওয়া হয়। আর প্রতিটি ভ্যানে তিনজন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে।
তিনি জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ভ্যানগুলোতে করে ওয়ার্ডের পূর্ব নির্ধারিত সেকেন্ডারি ডাস্টবিন পয়েন্টে বর্জ্যগুলো নিয়ে ফেলে। এর পর রাত আটটা থেকে সিটি করর্পোরেশনের কয়েটি ট্রাকে করে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে রাসিকের ভগাড়ে নিয়ে ফেলা হয়। আর সন্ধ্যার পর থেকে কুরবানি দেওয়া স্থানগুলোতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড