রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা
সারা দেশের ঘরে ঘরে যখন চলছে ঈদের আনন্দ, বাড়ি বাড়ি চলছে কুরবানির মাংস কাটার ব্যস্ততা। ঠিক সে সময়ে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত গাইবান্ধার সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা। এবার তাদের ঈদ কাটছে রাস্তার ওপর ঝুপড়ি ঘরে।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের পোড়াগ্রামের ছামিনা বেগম। সাম্প্রতিক বন্যায় বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে তারসহ ওই গ্রামের ২৪টি পরিবারের বাড়ি-ঘর। কোনো মতে জীবন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ওই গ্রামের সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কের পাশ্বে ঝুপড়ি ঘর তুলে। ঈদের দিন হলেও তার চুলায় ওঠেনি ভালো কোনো রান্না। কোনো রকমে সকালে খেয়েছেন নিচ্ছেন রাতের খাবারের প্রস্তুতি।
এভাবে দিনে তিন বারের জায়গায় কোনো দিন এক বেলা আবার কোনো দিন না খেয়েই কাটছে ছামিনা বেগমসহ ওই গ্রামের ২৪টি পরিবারের রাস্তায় মানবেতর জীবনযাপন। ঈদের দিন হলেও নতুন জামা কাপড় বা কুরবানির মাংস জোটেনি তাদের পরিবারের। এ ২৪টি পরিবারের মতোই জেলার সাত উপজেলার বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাড়িঘর সংস্কারের অভাবে অনেকেই তাদের বসত বাড়িতে ফিরতে পারেনি এখনো। এ অবস্থায় অন্যের বাড়ি, বাঁধ, সড়ক ও আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
বাঁধ, সড়ক ও আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছেন বানভাসীরা (ছবি: দৈনিক অধিকার)
এ দিকে যারা বাড়ি ফিরেছেন তারাও বাড়ি-ঘর ঠিক করতে না পেরে ঝুপড়িঘর তুলে আশ্রয় নিয়েছেন কোনো রকমে। প্রতিবার পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করলেও এবার ঈদ আনন্দ নেই তাদের কপালে। কুরবানি তো দূরের কথা ছেলে মেয়েদের নতুন কাপড় ও ঈদের দিন একটু ভালো খাওয়াটাই ছিল যেন কাছে এখন স্বপ্নের মতো। নেয়নি কেউ খোঁজ-খবর, আসেনি কোনো স্থানীয় প্রতিনিধি।
ছামিনা বলেন, গোস্ত তো দূরের কথা, নতুন জামা কাপড় দিতে পারিনি সন্তানদের। সব হারিয়ে রাস্তায়, রাস্তায় আমাদের ঈদ। এ দিকে দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পুর্নবাসন করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমন দাবি তাদের।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড