মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
কর্মব্যস্ত শহর ছেড়ে একটু অবকাশের জন্য ঈদযাত্রায় গ্রামের ছায়াঢাকা প্রকৃতির মাঝে ফিরছে রাজধানীবাসী। ঈদযাত্রায় তৃতীয় দিনে স্বস্তিতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো লাখো মানুষ।
রবিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রধান প্রবেশ দ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ অনেকটাই কম ছিল। এদিকে ঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন। পাশাপশি শতাধিক ট্রাকও রয়েছে। তবে সকাল দিকে যানবাহনের চাপ দেখা গেলেও দুপুর নাগাদ তা কমে যায়।
ঘাট সূত্রে জানা যায়, সকাল এই রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি রো রো, চারটি কে-টাইপ, দুটি মাঝারি, ছয়টি ডাম্প ও একটি ছোট ফেরি চলাচল রয়েছে। অন্যদিকে তিন শতাধিক স্পিডবোট ও ৮৭টি লঞ্চ দিয়ে পারাপার হচ্ছে বাড়ি ফেরা মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় মাত্র শতাধিক গাড়ি রয়েছে তবে এর মধ্যে প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া সকাল থেকে আবহাওয়া ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী রয়েছে। এরকম পরিস্থিতি থাকলে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা থাকবে না ও গাড়ির চাপ থাকলেও কমে আসবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ফেরিগুলো সব সচল থাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলোকে আমরা দ্রুত পার করতে সক্ষম হয়েছি।
বিআইডব্লিউটিএ-এর শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকে লঞ্চঘাট ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা গেছে। ঈদ উপলক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে থাকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান, ঘাটে সকালে যাত্রীদের কিছু চাপ ছিল। তবে এখন কমতে শুরু করেছে। বলা যায়, স্বস্তিতেই ফিরছে মানুষ।
তিনি বলেন, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও স্পিডবোট ঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য রয়েছে। বাসে ভাড়া বেশি নেওয়াসহ কোনো প্রকার অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড