ফয়ছল আহমদ, সিলেট
শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে সিলেটের কুরবানির পশুর হাটগুলো। সিলেটের সবকটি হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুরবানির পশু এসে বাজার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত বাজারে তুলনামূলক ক্রেতা কম থাকলেও শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে মাঝারি সাইজের গরু। তবে এ সাইজের গরুর দাম অন্য বছরের চেয়ে ১০/১৫ হাজার বেশি। ফলে ক্রেতারা তাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাছাড়া প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে এ বছর প্রবাসী কম আসায় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন লোকসানের শঙ্কায়। তবে আজ থেকে বাজার ঠিকই জমে উঠবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক ভর্তি গরু আসছে এখানে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, বাজারে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করছে। বেশি দামে গরু ক্রয় করে, উপযুক্ত দাম না পাওয়ার শঙ্কায়ও আছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বেকায়দায় পড়েছেন মধ্যবিত্তরা। সব মিলিয়ে শেষ ভালোর স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটের বৃহত্তম পশুর হাট কাজিরবাজার প্রত্যাশিত গরু উঠেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যস্ততা।
কাজিরবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, তিনি কুষ্টিয়া থেকে ৪০টি গরু নিয়ে এসেছেন। সবকটি গরুর দাম ৭০-৮০ হাজার টাকার উপরে। সিলেট উপশহরের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন বলেন, তার গরু কেনার বাজেট ছিল ৫০ হাজার টাকা। গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ওই দামে ছোট সাইজের গরু পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় গরুর দাম একটু বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে তার অভিযোগ। এ বছর ৫০ হাজার টাকার গরুর দাম ব্যবসায়ীরা ৬৫/৭০ হাজার টাকা চাচ্ছেন। তবে আজ থেকে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তার ধারণা।
টিলাগড় এলাকার মুদির দোকানদার সাহেদ এসেছেন, ছাগল ক্রয় করতে। তার বাজেট সাত/আট হাজার টাকা। বাস্তবে ওই দামে যে ছাগল পাওয়া যায় তা তার পছন্দের নয়। তবুও চেষ্টা করছেন, ছাগল কেনার। কাজিরবাজার হাটের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন জানান, সিলেটের সব ক্রেতাই শেষ মুহূর্তে গরু কিনতে কাজিরবাজারেই আসেন। গেলবার তারা গরু কিনতে বাজারে এলেও পথে পথে অস্থায়ী বাজারে বাইরে থেকে আসা গরু বোঝাই ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। এ কারণে গরুর সংকট দেখা দেয় কাজিরবাজারে। এবারও যেভাবে বাইরের জেলা থেকে আগত বেপারীদের হয়রানি করা হচ্ছে, তাতে হয়তো ক্রেতাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল শহরের মেন্দিবাগ এলাকায় গিয়ে সরেজিমেন দেখা যায়, গরুর ট্রাক আটকে তিন গ্রুপ তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়েছেন। কোন বাজারে নেওয়া হবে গরু। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করছেন। বিক্রেতা চাচ্ছেন কাজির বাজারে যেতে। অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় তিনি কাজির বাজারে যেতে সক্ষম হন।
শহরতলীর বলাউরার জমসিদ আলী টিলাগড় বাজারে এসেছেন তার ঘরের গরু নিয়ে। তার মতে, সিলেটের বাইরে থেকে নিয়ে আসা গরুর ওপর আস্তা রাখতে পারছেন না ক্রেতারা। ফলে ছোট গরুর দিকে ঝুঁকছেন। তবে বাজারে ছোট গরুর সংখ্যা কম। তিনি ৬০ হাজার টাকা পেলে তার ষাঁড়টি বিক্রি করবেন বলে জানান।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড