• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টুং টাং শব্দে মুখর কামার পল্লী

  অধিকার ডেস্ক    ০৮ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৫৬

কামারি
কুরবানির বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কামারিরা ( ছবি : দৈনিক অধিকার )

ঈদুল আজহাকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে সিরাজগঞ্জের কামার পল্লীগুলোতে। রাত-দিন হাতুড়ি ও লোহার টুং টাং শব্দে সরগরম কামারপাড়া এলাকাগুলো। কামারিরা তৈরি করছে কাটরি, হাঁসুয়া, ছুরি, চাপাতি, দা, বটি। পাশাপাশি চলছে পুরাতন সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজ।

আগামী ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া ও হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ছুরি, দা, বটিসহ নানা রকমের সরঞ্জাম। একইভাবে চলছে মোটরচালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও কামার পল্লীতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত কামারিরা। সারা বছর কাজের চাপ না থাকলেও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কাজের চাপ বাড়তে থাকে।

কামারিদের দাবি, কুরবানির মৌসুমেই কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে কয়লার দাম বেশি হওয়ায় অন্যবারের চেয়ে এবার ছুরি, দা, বঁটির দাম কিছুটা বেশি।

আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কামার শিল্প বিলুপ্ত প্রায়। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। উল্টো প্রযুক্তির দাপটে ক্রমেই মার খাচ্ছে এ শিল্প। বছরের ১১ মাস কামারশালায় তেমন একটা কাজ থাকে না বললেই চলে।

জেলার সলঙ্গা বাজারের কামার পল্লীর বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা যায়, প্রতিটি কাটারি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে দুইশ থেকে ১৫শ টাকা, দা ২০০-৩০০ টাকা, কেজি হিসেবে ৫শ থেকে ৬শ টাকা, হাঁসুয়া ৩০০-৪০০ টাকা ও ছোট ছুরি ১৫০-৩০০ টাকা। এছাড়া বঁটি প্রতি পিস ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুরাতন সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজ করছে কামারিরা ( ছবি : দৈনিক অধিকার )

ক্রেতাদের দাবি, এ বছর পশু কুরবানির উপকরণের দাম তুলনামূলক বেশি। তবে কামারিদের দাবি, কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় সরঞ্জামাদির দাম কিছুটা বাড়তি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইয়াসিন কামারি জানান, কাজের চাপ বেশি থাকায় রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে। নতুন সরঞ্জামের চাহিদার পাশাপাশি পুরাতনগুলোতে শান দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বছর বেশিরভাগ ক্রেতা পুরাতন সরঞ্জাম মেরামত করতে নিয়ে আসছে। বিক্রি কম হচ্ছে।

সলঙ্গা বাজারের কামার পল্লীর আব্দুস সামাদ বলেন, 'গত ৩৫ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত আছি। আমার পূর্বপুরুষরাও এই কাজ করতেন। এখন সারা বছর তেমন কোনো কাজ থাকে না। তবে কুরবানির ঈদের আগে কাজের চাপ থাকে। এখন পর্যন্ত খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না ঈদের এক-দুই দিন আগে বিক্রি বাড়বে বলেও জানান তিনি।

পশু জবাইয়ের উপকরণ কিনতে আসা আব্দুস সাত্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। তাই আগে থেকেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনে রাখছি।’

ইব্রাহিম হোসেন নামে আরও এক ক্রেতা জানান, পশু জবাইরে সরঞ্জাম কেনার পাশপাশি পুরাতন গুলাও শান দিতে নিয়ে আসছি।

এ বিষয়ে সলঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রায়হান গফুর বলেন, কেউ যাতে কুরবানির এসব সরঞ্জাম অধিক দামে বিক্রি করতে না পারে এবং কোনো ক্রেতা যাতে হয়রানির শিকার না হয় তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

ওডি/এসএএফ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড