পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা শহরের ৩০টি স্থানে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ অভিযান চালিয়ে তিনটি স্থানে ডেঙ্গুর মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে পুরো জেলায় এই অভিযান পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। জেলায় একজন কিটতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে তার দুইজন সহকারী ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র শনাক্তসহ তা ধ্বংস করণ অভিযান চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে মিডিয়া কর্মীদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক মত বিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল এ কথা জানান।
সভায় জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে পাবনা শহরের কেন্দ্রীয় বাস-ট্রাক টার্মিনাল ও বিআরটিসি ডিপোসহ তিন স্থানে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র শনাক্ত করা হয়। ওইসব প্রজনন ক্ষেত্র থেকে এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে এগুলো ধ্বংসের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই সভায় সিভিল সার্জন ছাড়াও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর, কিটতত্ত্ববিদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় জানানো হয়, পাবনায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামাঞ্চলেও। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার দুইটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নতুন করে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বেড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছয়জন এবং ফরিদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৮ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫৩ জন। এখন প্রয়োজন পুরো জেলায় ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র শনাক্ত করা এবং তা ধ্বংস করা।
কিটতত্ত্ববিদ হেলাল উদ্দিন জানান, এর জন্য যে জনবল প্রয়োজন তা আমাদের নেই। তবুও আমরা সাধ্যের মধ্যেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করার চেষ্টা করছি। এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি সচেতনতামূলক র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড