মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শ্রীপুরের কুমার নদী থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানালেও নিহতের পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাগুরা ডিবি ইন্সপেক্টর নাসিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শ্রীপুর উপজেলার হাট শ্রীকোল বাজারে যায়। এ সময় শ্রীকোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ওই বাজারের মদনের চায়ের দোকানে বসে ছিল। কিন্তু বাজারে হঠাৎ পুলিশের উপস্থিতি দেখে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করলে আমিরুল বাজারের পাশে কুমার নদীতে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নদীতে নামার পর তাকে দেখতে না পেয়ে এলাকাবাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ দিকে ঘটনার আধাঘন্টা পরও নদীতে আমিরুলকে দেখতে না পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এলাকাবাসী শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে তার কোনো খোঁজ পায়নি। পরে খুলনায় ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হলে বুধবার সকালে ডুবুরিদল নদীতে তল্লাশি চালায়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিতে তারা আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুলের ভাই কামরুল মোল্যা এই মৃত্যুর জন্যে পুলিশকে দায়ী করে বলেন, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ডুবুরি দল লাশটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ডিবি পুলিশ সেখানে গিয়েছিল দুই মাদক কারবারিকে আটক করতে। কিন্তু আমিরুল কেন, কীভাবে দৌড়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড