• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নদীতে ১৪ দিন ধরে আটকে আছে পাথর বোঝাই ট্রলার

  চিলমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

০৭ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪১
ট্রলার
পাথর বোঝাই ট্রলার (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌ-বন্দরে দুটি পাথর বোঝাই ট্রলার খালাসের অপেক্ষায় ১৪ দিন ধরে আটকে আছে। ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশের আফসা এন্টারপ্রাইজ ও মুকুল এন্টারপ্রাইজ নামের ট্রলার দুটি বর্তমানে বন্দরের পূর্বদিকে অবস্থান করছে। বাংলাদেশি দুই ব্যবসায়ী ভারতের আসাম থেকে নৌপথে এসব পাথর আমদানি করেছেন এবং তারা নিয়ম মেনেই তা আমদানি করেছেন।

কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তা বলছেন, ভুটানের পণ্য শুধু বুড়িমারী ও বাংলাবান্দা দিয়ে আমদানি করার অনুমোদন আছে। কিন্তু দুই ব্যবসায়ী কাস্টমসের কোনো ক্লিয়ারেন্স না নিয়েই নৌ-পথে পাথর আমদানি করেছেন। এই জটিলতার কারণে ট্রলার দুটি ১৪ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদে আটকা আছে। এ পাথর বোঝাই ট্রলার দুটির বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছে রংপুর কাস্টমস বিভাগ। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রংপুর কাস্টমস অফিস সুত্র জানায়।

এ দিকে ট্রলার দুটি টানা ১৪ দিন ধরে বন্দরে আটকে থাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাংলাদেশি ওই দুই পাথর ব্যবসায়ী। প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার টাকার বেশি খরচ গুণতে হচ্ছে তাদের।

পাথর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন খান অভিযোগ করেছেন, গত ২৫ তারিখ থেকে ট্রলার দুটিকে আটকে রেখে নানা টালবাহানা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। সম্ভাবনার একটি নতুন দিগন্তকে গলা টিপে হত্যা করতে চাইছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, ৭১’র পর আসাম থেকে জলপথে পাথর আমদানি এই প্রথম। এর আগে গত ১৮ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপ ভুটান থেকে এ পথেই পাথর আমদানি করেছেন। এটাকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত বলে অভিহিত করেন ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের হাইকমিশনারগণ। কিন্তু অজানা কারণে কাস্টমস গত ১৫ দিন ধরে পাথর বোঝাই ট্রলার দুটিকে আটকে রেখেছেন। ট্রলার দুটি আটকে থাকায় আমাদের প্রতিদিন বাড়তি ৩০ হাজার টাকার বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে।

তবে কাস্টমস রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা আকতার হোসাইন ট্রলার দুটিকে আটকে রাখা হয়েছে তা মানতে নারাজ। তার ভাষায়, ট্রলার দুটিকে সাময়িকভাবে ‘চলৎশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে। রাজস্ব ও আমদানির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও কোনো কারণে ট্রলার দুটিকে আটকে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর কাস্টমসের (সেক্রেটারি ২য়) কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জানান, ব্রহ্মপুত্র দিয়ে নৌরুটে আমদানির বিষয়ে উভয় দেশের চুক্তি হলেও বাস্তবিক পক্ষে আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটি তদারকি করতে চিলমারী পয়েন্টে আমাদের লোকবল এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটা না জেনেই শেরপুরের দুইজন ব্যবসায়ী ভারত থেকে পাথর আমদানি করেছেন। ফলে ট্রলার দুটিকে সাময়িকভাবে ‘চলৎশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে মাত্র। তারা আবেদন করেছেন। কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের নৌপথে পাথর আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে সেটা হয়েছে। আপাতত বুড়িমারী ও বাংলাবান্দা রুট ছাড়া অন্য কোনো রুটে ভুটানের পাথর আমদানি করার কোনো অনুমোদন নেই।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড