• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডেঙ্গু আতঙ্কে সাটুরিয়ায় স্প্রে-কয়েল ও মশারির বাজার চড়া

  আব্দুস ছালাম সফিক, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

০৬ আগস্ট ২০১৯, ১৩:২২
মশারি
ডেঙ্গু আতঙ্ক বেড়েছে মশারির চাহিদা ( ছবি : দৈনিক অধিকার)

দেশব্যাপী চলছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। এই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মশারি, মশা মারার স্প্রে, কয়েল ও বৈদ্যুতিক ব্যাটের (মসকিউটো র‌্যাকেট) চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে যেসব পরিবারে শিশুসন্তান রয়েছে, তারাই সবচেয়ে বেশি সতর্ক হচ্ছেন। অন্যদিকে মশা নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের ব্যর্থতায় নিজেদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ উপজেলাবাসী।

উপজেলা সাটুরিয়া সদর, জান্না, দরগ্রাম, তিল্লি, দিঘুলিয়া এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্প্রে, কয়েল বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ক্রেতারা অবশ্য অভিযোগ করছেন, এই সুযোগে মশার কয়েল, ব্যাট ও মশারির দাম বাড়তি রাখছেন ব্যবসায়ীরা। নিরুপায় হয়ে ক্রেতাদের বেশি দামেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে।

গোপালপুর বাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ব্র্যান্ডের মশা মারার স্প্রে ও কয়েলের দামই বাড়তি। আগে স্প্রের যেসব ক্যান ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ১০০ টাকার নিচে দিতে চাচ্ছেন না বিক্রেতারা। স্প্রের ক্যান প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা।

সাটুরিয়া বাজারের জয়কালী স্টোরের মালিক বাসুদেব সাহা জানান, মশার স্প্রের বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। আগে মাসে ৪ থেকে ৫ কার্টন (প্রতিটিতে ১২টি করে) স্প্রে বিক্রি হতো। ডেঙ্গু আতঙ্কে গত ৭ দিনেই ১০ কার্টন বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও দোকানে বৈদ্যুতিক কয়েলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অ্যারোসল ক্যান প্রতি ১৫ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ দিকে বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৫০টি ব্র্যান্ডের কয়েল বাজারে আছে। পাইকারি বিক্রেতারা দাবি করছেন, তারা কয়েলে বাড়তি দাম না রাখলেও মানুষের আতঙ্ক, প্রয়োজন আর চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন এলাকার খুচরা বিক্রেতা ও দোকানিরা। প্রায় সব কোম্পানির কয়েলই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চার-পাঁচ টাকার কয়েলের দাম হয়েছে আট টাকা।

নতুন ভোঁয়া এলাকার মো. রতন মিয়া বলেন, আগে শুধু রাতে ঘুমানোর আগে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতেন। ডেঙ্গু আতঙ্কে এখন দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন।

সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ আমিনুর রহমান খাঁন মজলিস বলছেন, দেশে বহু অখ্যাত ও অবৈধ কয়েল কারখানা গড়ে উঠেছে। তারা উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ করে কয়েল উৎপাদন করে। উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক প্রয়োগ করা কয়েল মশা তাড়ায় ঠিকই, কিন্তু সেটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন পারভীন বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ফগ মেশিন না থাকায় মশা নিধনে কোথাও স্প্রে করা হয়নি। ফগ মেশিন কেনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড