গাইবান্ধা প্রতিনিধি
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিতে ডুবেছে গাইবান্ধা জেলার ছোট বড় মৎস্য খামারসহ হাজারো পুকুর। ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এই বন্যা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে মাছ চাষিদের হাজারো স্বপ্ন। বহু কষ্টে গড়ে তোলা মাছের খামারগুলো পানির স্রোতে তছনছ হয়ে গেছে।
মাছ নেই তছনছ হওয়া পুকুর ও খামারগুলোতে। মাছ চাষিদের মাথায় চেপে বসেছে ঋণের বোঝা। চোখের সামনে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে শেষ সম্বল দিয়ে চাষ করা পুকুরের মাছ। সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত মাছ চাষিরা।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২শ ৯০টি খামার ও পুকুর। এসব খামার ও পুকুরে ২ হাজার ১শ মেট্রিক টন বড় মাছ ও প্রায় ১শ ১১ মেট্রিক টন পোনা মাছ ভেসে গেছে । সব মিলিয়ে ২৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে ।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি হামিদ বলেন, বাঁধ ভেঙেছে শুনে বাড়ি আসতেই পুকুরে বন্যার পানি সয়লাব। চারটা পুকুরের মাছ নিমিষেই চলে গেল। পুকুরে কোনো মাছ নেই। একদম পথে বসে গেছি। কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ। কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব। সরকারিভাবে পোনা বা টাকা দিলে পুনরায় মাছ শুরু করা যেত।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান দৈনিক অধিকারকে জানান, জেলার সাত উপজেলায় বন্যার পানিতে মাছ ভেসে গিয়ে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবাধে ধরা পড়ছে এসব মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি ও খামারিদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে তারা মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এতে জেলার মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সহযোগিতা করা হবে।
এ দিকে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড