শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ডাকাতিয়াকান্দা ও পৌর শহরের গ্রীণ রোড এলাকা থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।
পৃথক ঘটনায় উদ্ধারকৃত মরদেহ দুইটির মধ্যে ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় কুলসুম নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর লাশ ছাড়াও সোহেল রাজবর (৩০) নামে অপর এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কুলসুম উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ডাকাতিয়াকান্দা এলাকার কিতাব উদ্দিনের মেয়ে ও পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। এছাড়া সোহেল রাজবর নামে ওই যুবক পৌর শহরের গ্রীণ রোড এলাকার সংকর রাজবরের ছেলে ও এক সন্তানের জনক।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে পরিবারের সবাই কাজে ব্যস্ত থাকায় সবার অজান্তে বাড়ির পাশের ডোবায় ডুবে যায় কুলসুম। এরপর সকাল ১০টার দিকে কুলসুমকে না পেয়ে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবার। পরে ১১টার দিকে বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নকলা ইউপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সোজা এবং পরিসংখ্যান অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দা তাজকেরাতুল আল মেহেদী কাঞ্চন ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নকলা পৌর শহরের গ্রীণ রোড এলাকা থেকে সোহেল রাজবর নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের সামনে থাকা আম গাছের ডালের সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সোহেল। পরে সকালে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে জেগে সোহেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হওয়ায় এ বিষয়ে নকলা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড