• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নদী ভাঙনে হুমকির মুখে টাঙ্গাইলের বেত শিল্প

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

০২ আগস্ট ২০১৯, ১০:৫৫
নদী ভাঙন
নদী ভাঙনের কবলে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার (ছবি : দৈনিক অধিকার)

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে এ্যালানজানি নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে ১০টি হিন্দু পাটিয়াল পরিবার। এছাড়া আরও ৫টি পরিবার ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই পাঁচ পরিবারসহ আটিয়া ইউনিয়নের হিঙ্গানগর, বিন্দুরিয়া, চরপাড়া এলাকার অনেক পাটিয়াল পরিবার নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাবে। টাঙ্গাইলের বেত শিল্পের অন্যতম এলাকা হিঙ্গানগর। ফলে পরিবারগুলো নিঃস্ব হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে টাঙ্গাইলের বেত ও শীতল পাটির ঐহিত্য।

দীর্ঘদিন ধরে শীতল পাটি বুনে পরিবার চালান হিঙ্গানগর গোস্বামী পাড়ার মিতালী রানী নন্দী। মিতালী ইতোমধ্যে এ্যালানজানি নদী ভাঙনে বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫ বছর হলো আমার স্বামী প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায়। আমার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। এতদিন আমার আয়ে সংসার চলত। আজ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ভিখারি হয়েছি। জানিনা কীভাবে এদের সামলাব। নিশ্বাস ভারি হয়ে আসে তার। আর কিছু বলতে পারেন না তিনি।

একই এলাকার ভাগ্য চন্দ্র দেব বলেন, ১০ বাড়ি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। আরও ৫টি বাড়ি ভাঙন কবলিত। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে যাবে। এলাকার ইউপি মেম্বার একবারও আমাদের দেখতে আসেনি। আমরা কোনো ধরনের সাহায্যে-সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাইনি।

আটিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পরিমল চন্দ্র দে জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। তিনি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সিরাজুল হক মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিবছর এ্যালানজানি নদীতে পানি এলে আটিয়া ইউনিয়নের হিঙ্গানগর, বিন্দুরিয়া, চর পাড়া, গড়াসিন এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। গত বছর গড়াসিন এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু পরিবার নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে। এ বছর হিঙ্গানগর এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। হিঙ্গানগর এলাকাটি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি ও বেত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। তাই এই এলাকাটি রক্ষা করা টাঙ্গাইলের সকলের দায়িত্ব।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিষয়টি সর্ম্পকে জানি। যত দ্রুত সম্ভব এই এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু এই এলাকা টাঙ্গাইলের বেত শিল্পের জন্য বিখ্যাত তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড