শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর ৬৬ নম্বর পূর্বকোটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য সমাপনী পরীক্ষাকে উপজীব্য করে জুলাই মাসেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফিসহ সিলিং ফ্যান বাবদ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে সমাপনী পরীক্ষার্থী রুপা, রুবেল, কুলসুম ও মৃদুল জানায়, স্কুলের স্যারেরা পরীক্ষার জন্য ৫০ ও ফ্যানের জন্য ৫০ টাকা করে নিয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য দুই ইউনিটের একটি টয়লেট (ওয়াস ব্লক) রয়েছে। একটি ইউনিটে ৪টি আরেক ইউনিটে ২টি টয়লেট রয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন শিক্ষক ব্যবহার করছেন ৪টি টয়লেট। আর ২৮০ জন শিক্ষার্থী ব্যবহার করছে ২টি টয়লেট।
শিক্ষকদের জন্য পরিচ্ছন্ন টয়লেট
শিক্ষকদের টয়লেটে গিয়ে দেখা যায় সেগুলো বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেখানে টয়লেট টিস্যু, হাত ধোয়ার হ্যান্ড ওয়াস ও তোয়ালেও রয়েছে। এ দিকে শিক্ষার্থীদের টয়লেট ভীষণ নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। হাত ধোয়ার জন্য কোনো জায়গায় দেয়া হয়নি সাবানও!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম বলেন, সমাপনী পরিক্ষার্থীরা নিজেরাই টাকা দিয়ে ফ্যান কিনে এনে লাগিয়ে দিয়েছে। এটা তাদের দেয়া উপহার। এই বিদ্যালয়ে ২৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তিনি জানান, পর্যাপ্ত টয়লেট নেই, শ্রেণিকক্ষের সঙ্কট, একটা কক্ষকে দুইটা ভাগ করে ক্লাশ নিচ্ছি। আরেকটি রুম স্থানীয়দের অনুদানে করলেও টাকার অভাবে টিন কিনতে পারছি না। চেয়ার-টেবিলসহ রয়েছে শিক্ষকদের বসার জায়গার সঙ্কটও।
প্রধান শিক্ষিকার কথায় ও কাজে জানা যায়, স্থানীয়দের সাহায্যে চলছে ৬৬ নম্বর পশ্চিম কোটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ দৈনিক অধিকারকে বলেন, নভেম্বর মাসে সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা ফি ৬০ টাকা ছাড়া অন্য কোনো টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। কোনো অভিভাবক যদি খুশি হয়ে স্কুলে ফ্যান অথবা কোনো জিনিসপত্র কিনে দেন তাহলে সেটা নেয়া যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা ফির সাথে ফ্যান কেনার টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি দেখব।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড