হরিরামপুর প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে বন্যাকে পুঁজি করে হরিরামপুর উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল, বেড়িজাল ও মশারি জালের মাধ্যমে মৎস্য শিকার করছে এক অসাধু চক্র। প্রতিদিনই দেশি প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ এলাকায় মিঠাপানির মাছের অকাল দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে অভিজ্ঞ মহলে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আগাম অত্যাধিক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় হরিরামপুরের প্রধান দুইটি নদী পদ্মা ও ইছামতী এবং জলাশয়গুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার মাছের প্রজনন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির লোভী মৎস্য শিকারি ও ব্যবসায়ীরা অবাধে নিধন করে যাচ্ছে মা মাছ ও পোনা মাছ। অবাধে দেশীয় প্রজাতির মা ও পোনা মাছ নিধন করায় হরিরামপুরের সবচেয়ে বড় বাজার ঝিটকা, লেছড়াগঞ্জ, বলড়া বাজারসহ উপজেলার মোট ২৬টি হাট-বাজারগুলোতেই এখন চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, বেলে, শোল, টাকি, কৈ, মাগুর, শিং, চাপিলা, পোয়া, খৈলশা, আইড়, মলা, ঢেলা, বাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা জাল, বেড়ি জাল ও মশারি জালসহ কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধেই নিধন করা হচ্ছে ডিমওয়ালা মাছ ও রেণু পোনা মাছ। এ মাছ শিকার করা অপরাধের ব্যাপারে ধারণা নেই মাছ শিকারিদের। অনেকে আবার জেনেও না জানার ভান করে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেভাবে পোনা মাছ নিধন চলছে এভাবে চলতে থাকলে অনেক দেশি প্রজাতির মাছ আর দেখা যাবে না।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস মেহেদী জানান, কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই আমরা একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।
এ দিকে হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড