চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল মুমিনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ।
গ্রেফতারকৃত হাফেজ আব্দুল মুমিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেড় গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলামের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন মুফতি আব্দুল মুমিন। চাকরি করার সময় ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির এক ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর লুৎফুল কবির জানান, প্রায় দেড় বছর আগে বলাৎকারের ঘটনা ঘটলেও প্রাণভয়ে ওই ছাত্র বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু গত ২৪ জুলাই আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসাছাত্র আবির হুসাইনকে মাথাকেটে হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুখ খোলে নির্যাতিত ওই ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের চাচা সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ জানান, বলাৎকারের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে মাঠে নামে। সোমবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানসহ মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম, ইবনে খালিদ ও রাজীব হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা আমলা সদরপুর এলাকা থেকে হাফেজ আব্দুল মুমিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা শিকার করে বলেও জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড