কাপ্তাই প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি
বর্তমানে বাজারে পাহাড়ি গরুর কদর বেশি। কুরবানি এলেই রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার পার্শ্ববতী উপজেলা রাঙ্গুনিয়া, রাউজান তথা চটগ্রাম থেকে পাহাড়ি গরু কেনার জন্য অনেক ক্রেতাই কাপ্তাই নতুন বাজার আনন্দমেলা ঘাটে কুরবানির গরুর হাটে এসে ভিড় করে।
কাপ্তাই উপজেলার পার্শ্ববতী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নোয়াগাঁও থেকে শামসুল আলম ভান্ডারী কুরবানির গরু কেনার জন্য এসেছেন। উপজেলায় এত দেশি গরু থাকতে পাহাড়ি গরু কেন কিনতে আসলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড়ি গরু বন-জঙ্গলে থেকে প্রাকৃতিক খাবার খায় এবং সব সময় বন-জঙ্গলে থাকে এবং বিচরণ করে। ওই সকল গরুকে কোনো ধরনের মোটাতাজা করণের জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয় না এবং গরুটি সুস্থ রোগমুক্ত থাকে। তাই প্রতি বছর এলেই এ হাট থেকে কুরবানির গরু কিনে নিয়ে যাই।
রাঙ্গুনিয়া রশিদিয়া পাড়ার কাশেম বলেন, আমাদের দেশি গরুর খামারিরা কুরবানি এলেই মোটা অংকের টাকার জন্য গরুকে মোটাতাজা করার জন্য ইনজেকশন দেয়। যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তিনি আরও বলেন, গত বছর ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে মোটাতাজা গরুর কেনার ফলে কুরবানির দুইদিন পূর্বে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তাই পাহাড়ি গরু দেশি গরুর তুলনায় অনেক ভালো বলে উল্লেখ করেন।
এ দিকে লংগদু, মাইনী এবং বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে গরু বিক্রির জন্য আনা মংসুইনু মারমা বলেন, আমরা ইনজেকশন কী জানিনা। সারা বছর বন-জঙ্গলে আমাদের পালিত গরু ছেড়ে দিয়ে লালন পালন করছি। বিক্রি করার জন্য এনেছি বিক্রয় হলে করব না হয় আবার বাড়িতে নিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দিব বলে মন্তব্য করেন।
এ দিকে কয়েকজন ক্রেতা কাপ্তাই গরুর হাটে এসে জানান, এখানে গরুর দাম বেশি বলে মন্তব্য করেন। তবে পাহাড়ি গরুর কদর সব সময় আলাদা বলে অনেক ক্রেতাই মন্তব্য করেন।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড