লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় মো. সুমন (২৪) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির একটি বাগানে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত সুমন কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার সুজানগর গ্রামের মো. ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসের ২১ জুলাই রাতে সুমন নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) রামগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা মো. ইউনুস আলী। এতে সুমনের সহকর্মী ও বন্ধু রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ গ্রামের চৌকিদার মিঝি বাড়ির বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সোহেলকে (২৭) অভিযুক্ত করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি তথ্য মতে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুমন ও সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। সে সুবাদে দুই সহকর্মীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় সোহেল বিপদে পড়ে কিছু টাকা ধার চাইলে সুমন তাকে সহযোগিতা করে। পরে সুমন ওই টাকা ফেরত চাইলে গড়িমসি শুরু করে সোহেল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ফাটল দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সোহেল পরিকল্পিতভাবে সুমনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে।
রামগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক অধিকারকে জানান, সুমনকে হত্যা করার পর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে একটি নির্জন বাগানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। অভিযুক্ত সোহেলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনাটি স্বীকার করে। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহত সুমনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি সোহেল থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড