বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় একই পরিবারের ৫ সদস্য রহস্যজনকভাবে অচেতন হয়েছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ভূতবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন ব্যক্তিরা হলেন- ভূতবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে বদিউজ্জামান, তার স্ত্রী ফুলেরা খাতুন, তার পুত্র রাসেল মিয়া, পুত্রবধূ রেখা খাতুন ও ৪ মাস বয়সি নাতনি রুবাইয়া খাতুন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বদিউজ্জামানের স্ত্রী ফুলেরা খাতুনকে বাড়ির আঙিনায় অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায় গৃহবধূ রেশমী আকতার। রেশমী আকতার বদিউজ্জামানের ভাই নবুল হোসেনের স্ত্রী। পরে অসুস্থ ফুলেরা খাতুনকে ধরে ঘরে নিয়ে আসলে সেখানে দেখা যায় ফুলেরা খাতুনের স্বামী বদিউজ্জামান বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। তাকে ডেকেও ঘুম ভাঙাতে পারেননি রেশমী আকতার। পরে বিষয়টি জানাতে পাশের ঘরে থাকা বদিউজ্জামানের ছেলে রাসেলকেও ডাকেন তিনি। কিন্তু সেই ঘর থেকেও রাসেলের কোনো সাড়া মেলেনি।
পরে স্থানীয় লোকজনকে ডেকে আনেন রেশমী আকতার। এ সময় তারা বদিউজ্জামানের ঘরের এক পাশে সিঁধকাটা দেখতে পান। কিন্তু তাদের ডাকে বদিউজ্জামানের পরিবারের কোনো সাড়া না মেলায় বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
অন্যদিকে সকাল ১১টার দিকে অচেতন বদিউজ্জামান, ফুলেরা খাতুন, রাসেল মিয়া, রেখা খাতুন ও শিশু রুবাইয়া খাতুনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অচেতন ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জ্ঞান ফিরলে অচেতন হওয়ার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বদিউজ্জামানের শয়ন কক্ষের পাশে সিঁধ কাটা হয়েছে। তবে ঘরের কোনো কিছুই চুরি হয়নি। আবার পাশের কক্ষে বন্ধ ঘরে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে বদিউজ্জামানের ছেলেও অচেতন ছিল। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড